02/23/2025
FT Online | Published: 2019-09-19 02:27:50
বিশেষ প্রতিনিধি : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মাতুয়াইল ঢাকা ।স্টোর কিপার এস এম ওয়াহিদুজ্জামান দুর্নীতির মাধ্যমে আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এস এম ওয়াহিদুজ্জামান গরীব ঘরের সন্তান। পরিবারের সদস্যদের খাবার যোগাতে বিদেশে পাড়ি জমায়। বিদেশে ভালো কিছু করতে না পেরে অবশেষে দেশে ফিরে আসেন। অনেক খোজাখুজির পরে অবশেষে পেয়ে যান সোনার হরিণ। অল্প দিনে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন স্বচ্ছন্দ নিয়ে আসেন সংসারে। গরিব পরিবারের পরিচয় পাল্টে হয়ে যান বনেদি পরিবার। অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা শুধু কল্পনা আর গল্প, সিনেমাতেই মানায় শিশু মাতৃস্বাস্থ্যইনস্টিটিউট মাতুয়াইল ঢাকা।বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সেই সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে দিয়েছে । স্টোর কিপার এস এম ওয়াহিদুজ্জামান সহ অনেকেই হাসপাতালটা কে তারা বানিয়ে নিয়েছে টাকা তৈরীর কারখানা, পাল্টে দিয়েছে নিজেদের জীবন। ভোগ-বিলাস আর বিত্ত-বৈভব যাদের কাছে একদিন অলীক মনে হতো প্রতিষ্ঠানটির সেই তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা এখন ঘুমাচ্ছে টাকার বিছানায়। রাজধানীসহ নিজ গ্রামের বাড়িতে গড়েছে সম্পদের পাহাড়। কেউ কেউ আবার মাসে মাসে বিদেশে গিয়ে প্রমোদভ্রমণ না করলে পেটের ভাত হজম হয় না। চোখের সামনে এতসব অনিয়ম হলেও রহস্যজনক কারণে অবৈধ পন্থায় সম্ভব করে তোলা এসব কর্মচারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাতো নিচ্ছেই না উপরন্ত এদের বাঁচাতে সব অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন সুকৌশলে । এসব কর্মচারীর খুঁটির জোর এতটাই বেশি যে নানা সময় তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু হলেও তারা ঊর্ধ্বতনদের ম্যানেজ করেঁ নিজেদের বাঁচাতে সক্ষম হন। অনেক ক্ষেত্রে তদন্ত রিপোর্টে গায়েব করে ফেলেন। দ্য ফিনাস টুডের মুখোমুখি হয়ে এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে রয়েছে এরকম একটা বিশাল চক্র এই চক্রের সে একজন ছোট কর্মচারী মাত্র, বড় বড় অনিয়ম যারা করে বেড়াচ্ছে তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নাম চলে আসছে এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এর বক্তব্যে । ওয়াহিদুজ্জামান ভয়ে এদের নাম প্রকাশ না করতে প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন । এরা প্রত্যেকেই উক্ত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্ম-কান্ডের সাথে জড়িত । ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পরের পর্বে থাকছে তাদের নাম দূর্নীতির ভয়াবহ চিত্র ।
এ চক্রটি এসব অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকার শ্রাদ্ধ করে চলছেন। রয়েছে দলীয় ক্ষমতার দাপট ঘুষ তদবির বাণিজ্য, নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটিপতি বনে গেছেন তারা, এদের ভিতরে অনেকে রয়েছে কর্মচারী নেতা। যাদের ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পায়নি অনেকে । ওদিকে স্থানীয় সাংসদ মোল্লা হাবিবুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে তার নিকটাত্মীয়রা হাসপাতালটিকে চুষে খাচ্ছে, সাথে যুক্ত রয়েছে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ।
এস এম ওয়াহিদুজ্জামান যশোরের বটিয়াঘাটা তার গ্রামের বাড়ি, তিনি দেশে কোন কাজ না করতে পেরে বিদেশে পাড়ি জমায় চার বছর দেশের বাহিরে ছিলেন সেখান থেকে দেশে ফিরে সোনার হরিন পেয়ে যান হাতের নাগালে । পরে দুই হাজার টাকা বেতনে শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মাতুয়াইল ঢাকা । পদবী স্টোর কিপার ।সেই থেকে আজ ২২ বছর এই একই পোস্টে চাকরি করে যাচ্ছেন বর্তমান তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা । ইতিমধ্যেই হাসপাতালে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা মালিক বনে গেছেন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা কুতুবপুরে রয়েছে পাচঁ তলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ী ।শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মাতুয়াইল ঢাকা কাছেই স্ত্রী লিপির নামে রয়েছে আরো দুটি প্লট খুলনার ডুমুরিয়ায় রয়েছে অনেক সম্পত্তি।
এ ব্যাপারে এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অনেক কষ্টে চাকরি করে এ সম্পদ করেছি দুই ছেলেকে পড়ালেখা করিয়েছি । এ টাকা কষ্টের টাকা কোন দুর্নীতির টাকা নয়।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81