02/23/2025
আবু তাহের বাপ্পা | Published: 2020-03-03 20:54:59
আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর তিনি জানিয়েছেন ১৬০০ কোটি টাকার বেশি লুট হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এই টাকা ফেরত বা উদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই ডেপুটি গভর্নর আদালতের নির্দেশেই অনিয়মের কারণে ধুঁকতে থাকা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
পদত্যাগ নিয়ে ইব্রাহিম খালেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি রবিবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেছি। তাছাড়া ওখানে যে ধরনের সমস্যা সেটা তো আমাদের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। সেখানে যদি ব্যাংকিংয়ের সমস্যা থাকত বা ব্যবস্থাপনার সমস্যা থাকত তাহলে আমরা অভিজ্ঞতা দিয়ে ঠিক করতে পারতাম।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি যেটা জানলাম সেটা হয়তো হাই কোর্ট জানেন না। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস মানুষকে ঋণ দিয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৬০০ কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে পি কে হালদার অ্যান্ড গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটি খুবই ভালো ছিল। একজন ভালো লোক এটার চেয়ারম্যান ছিলেন, তাকে জোর করে চেয়ার থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো। চেয়ার কিনে জবরদস্তি করে প্রতিষ্ঠানটি দখল করা হয়। তারপরে তিন বছরের মধ্যে লুটপাট করে টাকা পয়সা নিয়ে যায়।
শোনা গেছে, পি কে হালদার কানাডাতে পালিয়ে আছে। লুট করা টাকা উদ্ধার করা তো ব্যাংকারের কাজ না, এটা তো দুদকের কাজ। আমি সরে গেলে পথটা পরিষ্কার হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইন করতে পারবে।
একজন ১ শাসক বসিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি দুদককে খবর দেয় তাহলে হয়তো কাজ হবে। আমাকে তো কেউ খবর দেবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করতে পারবে এ কারণে আমি সরে গেলাম।
আদালতের আদেশে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়ে কোম্পানির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে নিজের মতামত উপস্থাপন করেছিলেন ইব্রাহিম খালেদ।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81