02/24/2025
আবু তাহের বাপ্পা | Published: 2020-03-18 22:54:05
করোনা ভাইরাস যাতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও তাদের কর্মীদের অফিসে না এসে ঘরে বসে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব স্থানে চলমান ও অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা আতঙ্কে শপিং মল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় জনগণ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্য বেশি পরিমাণে কিনে বাসায় মজুত করতে শুরু করেছে। এর ফলে কাঁচাবাজারসহ সুপার শপগুলোতে পড়েছে কেনাকাটার হিড়িক। এ সুযোগে বিক্রেতারা চালের দামও দিয়েছে কিছুটা বাড়িয়ে।
বুধবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি এলাকার সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজার, ট্যানারি মোড় কাঁচাবাজার, রামপুরা বাজার, খিলগাঁও বাজার, রায়ের বাজার এবং এসব এলাকার বিভিন্ন সুপার শপ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা আজিজুর রহমান বলেন, ইউরোপের মতো শক্তিশালী দেশকে ঘায়েল করে ফেলেছে করোনা ভাইরাস। ঘর থেকে বের হলেই করা হচ্ছে জরিমানা। এমন পরিস্থিতি যদি আমাদের দেশেও হয়, সেজন্য আগেই নিত্যপণ্য একটু বেশি করে কিনে রাখছি।
তিনি আরও বলেন, কাঁচাবাজারে প্রতিটি পণ্যের দামই গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। কিন্তু চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি মিনিকেট ৫৩ টাকা করে কিনেছিলাম। কিন্তু আজ কেজিপ্রতি ২ টাকা বাড়ায় ৫৫ টাকা করে কিনতে হলো।
বিক্রি সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ২ দিন ধরেই কয়েক গুণ বেড়েছে কেনাকাটা। সাধারণত ঈদে এমন কেনাকাটা হয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ বেশি বেশি কেনাকাটা করছে দেখে কি চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এমন প্রশ্নে এক চাল বিক্রেতা বলেন, করোনার কারণে চালের দাম বাড়েনি। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি পাইকারি বাজারে কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছে। এক থেকে দেড় মাস পর যখন নতুন ধান উঠবে, তখন চালের দাম কমে যাবে।
বর্তমানে চালের বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট (খোলা) চাল ৫৫ টাকা, আটাশ ৪২ টাকা, পারিজা ৩২ টাকা ও নাজিরশাইল ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে ১০ জন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম দফায় ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী সারা বিশ্বে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮৬১ জনের। আর ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81