02/24/2025
Siyam Hoque | Published: 2020-04-08 01:26:18
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১৬ মার্চ আবদুল মাজেদ ঢাকায় আসেন। এরপর সোমবার রাতে গাবতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় আবদুল মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়ার আমলে 'ইনডেমনিটি অ্যাক্ট' জারি করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশ মিশনে চাকরি দেওয়া হয়।
২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে 'ইনডেমনিটি অ্যাক্ট' বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে ১২ খুনির ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে এবং কারাগারে আটক পাঁচ খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), এ কে বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিনকে (আর্টিলারি) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া অন্য ছয় খুনি বিভিন্ন দেশে পলাতক থাকায় তাদের দণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এর আগেই অবশ্য আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা গেছেন বলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন তৎকালীন জোট সরকার ঘোষণা দেয়।
পলাতক ছয় খুনির মধ্যে গত বছর নভেম্বরে মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম কেনিয়ায় মারা গেছেন বলে স্ত্রীর বরাতে তার এক ভাইয়ের ফেসবুক ম্যাসেজে জানা যায়। বাকি খুনি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন পলাতক। তাদের সঙ্গে ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদও পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে নূর চৌধুরী বর্তমানে কানাডা এবং লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের কারণে নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কানাডা। আরেক খুনি মোসলেহ উদ্দিনও যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তবে মোসলেহ উদ্দিন সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েও পাননি। এ ছাড়া খন্দকার আবদুর রশিদ লিবিয়ায় রয়েছেন বলে গুঞ্জন আছে।
ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছেও সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও অবশেষ তিনি গ্রেপ্তার হলেন।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81