September 19, 2024, 7:50 am


Siyam Hoque

Published:
2020-04-19 16:29:11 BdST

চিকিৎসকের গাড়িই যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি


শরীয়তপুরের নড়িয়ার চামটা ইউনিয়নের বাসিন্দা ওমর আলী পেটের পীড়ায় ভুগছিলেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে নম্বর নিয়ে ফোন দিলেন 'ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ব্রিগেড'-এ। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে হাজির চিকিৎসক দল। ওমর আলীর চিকিৎসা হলো। বিনামূল্যে পেলেন ওষুধও।

সারাদেশের হাসপাতালে যখন চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ আসছে, তখন শরীয়তপুরের নড়িয়া ও সখিপুরে এক দল চিকিৎসক গাড়ি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। ওষুধও ফ্রি দিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে না থাকলে ব্যবস্থাপত্র লিখে সেই ওষুধ কেনার জন্য নগদ টাকাও দেওয়া হচ্ছে।

'ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার'- এ স্লোগান নিয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের (নড়িয়া-সখিপুর) এমপি ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম চলতি মাসের শুরুর দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় এই চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন।

ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ব্রিগেডে দু'জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী মিলিয়ে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। ফোন পেলেই তারা ছুটে যাচ্ছেন রোগীর বাড়ি। এমনকি পদ্মা পাড়ি দিয়ে চরাঞ্চলে গিয়েও সেবা দিচ্ছেন তারা। এর বাইরে সপ্তাহে একদিন নড়িয়া ও সখিপুরের ২৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় বসে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে চিকিৎসক দলের ফোন নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম সমকালকে বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নানা কার্যক্রমে যুক্ত থাকায় সাধারণ মানুষের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবার বিষয়টি তার মাথায় আসে। বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি ওষুধ না থাকলে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দরিদ্র মানুষদের তা কিনতে নগদ টাকাও দেওয়া হচ্ছে।

শামীম বলেন, তিনি প্রতি সপ্তাহে এলাকায় যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দের বাইরে নিজের তহবিল ও পরিবারের পক্ষ থেকে ২২ হাজার পরিবারের মধ্যে চার দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করেছেন। রমজান সামনে রেখে সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি তার মায়ের নামে গড়া 'বেগম আশ্রাফুন নেছা ফাউন্ডেশন' ও নিজের উদ্যোগে ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অসহায় মানুষের জন্য নগদ টাকা বরাদ্দ করেছেন। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। জেলার চিকিৎসকদের মধ্যে তিন শতাধিক পিপিই, ১৪ হাজার মাস্কসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ব্রিগেডের অন্যতম সদস্য শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজের প্রভাষক শওকত আলী সমকালকে বলেন, তারা এরই মধ্যে নড়িয়া ও সখিপুরের প্রায় সব ইউনিয়নে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা