March 29, 2024, 4:44 pm


সিয়াম হক

Published:
2020-06-14 21:54:26 BdST

অবাধে বালু তোলায় হুমকি মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প


নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদপুর মতলবে মেঘনা নদী থেকে অবাধে বালু তোলায় হুমকির মুখে পড়েছে মেঘনা-ধনাগদা সেচ প্রকল্প। বালু তোলার কারনে যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে বেড়িবাঁধ। স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজ প্যাডে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছেন। তারপরও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মেঘনা ধনাগদা সেচ প্রকল্পের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ায় চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল গত বছরের মার্চ মাসে বালু তোলা বন্ধ করতে চিঠি দেন।

ওই বছরেই মে মাসে আদালতে মতলবের জনৈক আমিনুল এহসানের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করেন আদালত। পরে আদালতের নির্দেশ অমান্যকরে মুক্তার গাজী, আহার চৌধুরী, সোবহান সরকার শুভ, শরীফ কাজীসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট নদী থেকে বালু উত্তোলনের উত্তোলনের চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়দের দাবী। উপজেলার মোহনপুর চৌধুরী পরিবারের নেতৃত্বে শরীফ কাজি, সোবহান সরকার শুভা, আহার চৌধুরী এবং তাদের সহযোগীরা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেঘনা নদীর দশানী থেকে এখলাছপুর, জহিরাবাদ ইউনিয়নের পর্যন্ত রাতের আঁধারে অবৈধ ভাবে বালি তোলার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব ক্ষতি করেছে। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প রক্ষার জন্য এবং মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় এমপির চিঠি পাওয়ার পর ভূমিমন্ত্রালয়, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করার কাজ চলতো। তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই চক্রটি গাঢাকা দেয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ওই চক্র এলাকায় ফিরে এসেছে। তারা জহিরাবাদ ইউনিয়নের মুক্তার গাজির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবারো নদীতে বালি তোলার অবৈধভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা আরও বলেন, বালু উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধ না হলে দেশের বৃহত্তম মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ ও সরকারের প্রক্রিয়াধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জামাল হোসেন জানান ‘আমরা মতলব উত্তরের বালু উত্তোলন বন্ধের আদেশ পেয়েছি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকেও নির্দেশ এসেছে । দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন আদলতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ । কোন ব্যক্তি নদী বালু উত্তোল করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা