September 20, 2024, 4:20 am


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2020-08-15 19:43:32 BdST

ইতিহাসে আলোচিত যত রাজনীতিক হত্যাকান্ড


বিশ্ব ইতিহাসে হত্যাকাণ্ড নতুন কিছু নয়। মানব সভ্যতায় বহু আগে থেকেই এই ধরণের নৃশংস কাজের প্রচলন ছিল। তবে বেশ কিছু হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে অনেক বেশি আলোচিত। আর আলোচিত এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রাজনীতিক হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ই বেশি।

ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত রাজনীতিকই হত্যার শিকার হয়েছেন। তাদের অনেকেই জাতির পিতা ছিলেন। নিজ নিজ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন। সেইসাথে তাদের পরিচিতিও নিজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বব্যাপী।  
 
মহাত্মা গান্ধী

পৃথিবীর সব চাইতে আলোচিত হত্যাকান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম আধ্যাত্মিক নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর হত্যাকান্ড।

১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারিতে নয়া দিল্লীর বিরলা ভবনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি তার পরিবার এবং অনুসারীদের সাথে সন্ধ্যাকালীন পথসভা করছিলেন।

সভা চলাকালীন সময়ে নাথুরাম গডসে নামের একজন হিন্দু মৌলবাদী পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে। এর কয়েক ঘন্টা পরেই সত্যাগ্রহ আন্দোলনের এ প্রতিষ্ঠাতা মৃত্যুবরণ করেন।

জানা যায়, নাথুরাম গডসে ব্রিটিশদের সহিংস কাজের বিরুদ্ধে গান্ধীর অহিংস বাণী এবং সত্যাগ্রহের বিপক্ষে ছিলেন। তাছাড়া তিনি মনে করতেন গান্ধী পাকিস্তানকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর মহাত্মা গান্ধীর এ হত্যাকারীকে আমবালা জেলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড বাঙালির ইতিহাসে এক নির্মম ট্র্যাজেডি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের প্রায় সব সদস্য।

পৃথিবীতে বহু নেতা রাজনৈতিক হত্যাকণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা একেবারে বিরল।

বাঙালির অবিসংবাদিত এ নেতা বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত-নির্যাতিত জনতার মুক্তির ইতিহাসে কিংবদন্তি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এক ভাষণের মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। বাঙালিকে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।

আব্রাহাম লিংকন

১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন।

তিনি সেদিন ওয়াশিংট নের ফোর্ডস থিয়েটারে ‘আওয়ার আমেরিকান কাজিন’ নাটকের অভিনয় দেখছিলেন।

রাত ১০টা ১৫ মিনিটে নাট্যাভিনেতা জন উইলকেস বোথ পিস্তল দিয়ে লিংকনের মাথার পেছনে গুলি করেন। প্রেসিডেন্টকে বাঁচাতে সেনা কর্মকর্তা রাথবন এগিয়ে এলে তাকেও বোথ ছুরিকাঘাত করে লাফ দিয়ে মঞ্চে উঠে যান এবং পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কনফেডারেট রাষ্ট্র তৎকালীন অস্বীকৃত উত্তর আমেরিকার সমর্থকদের ভূমিকা ছিল।

মার্টিন লুথার কিং

লুথার কিং যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করেছেন। ১৯৫০ মধ্যবর্তী সময় থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন আমেরিকান সিভিল রাইট মুভমেন্টের নেতা।

১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মেমফিসে অবস্থিত লরাইন মোটেলে অবস্থান করছিলেন মার্টিন। আর মোটেলের ৩০৬ নম্বর কামরার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামের শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী যুবকের গুলিতে নিহত হন তিনি।

বুলেটটি তার ডান গাল ভেদ করে স্পাইনাল কর্ড হয়ে ঘাড়ের শিরা ছিঁড়ে ফেলে। রাত ৭টা ৫ মিনিটে সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে মারা যান কিং।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা