April 27, 2024, 6:55 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2021-06-05 22:29:52 BdST

কঠিন শিলাপ্রকল্প মুনাফার ধারাবাহিকতায় তিন বছর


FT রিপোর্ট : অবশেষে লাভের মুখ দেখলো মধ্যপাড়া খনিরপাথর উত্তোলন প্রকল্প। নানাসীমাবদ্ধতা, অন্তরায় এবং আইনিজটিলতা পেরিয়ে অবদান রাখতে শুরু করেছে রাজস্ব খাতে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে আবিষ্কৃত হয় এই খনি। আবিষ্কারের ৪৮ বছরের মাথায় কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার দিকে যাত্রা শুরু করে এ প্রকল্প।বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপাড়া পাথরখনি বিশ্বের একমাত্র ভূ-গর্ভস্থ আগ্নেয় শিলাখনি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,সত্তরের দশকে দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় আবিষ্কৃত হয় কঠিনশিলার এখনি। বঙ্গবন্ধুর নির্র্দেশনায় বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) ১৯৭৩ সালে ওই স্থানে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ পরিচালনা করে। ওই জরিপে ১২৮ মিটার গভীরতায় আবিষ্কৃত হয় কঠিন শিলা। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সরকার প্রাকৃতিক সম্পদের বিরাট এই সম্ভাবনাকে মাথায় নেয়নি। বৈদেশিক যোগাযোগহীনতা এবং প্রযুক্তিগত পশ্চাদপদতার কারণেও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায় নি। ১৯৯৪ সালের ২৭ মার্চ পাথরখনি উন্নয়নে উত্তর কোরিয়ার‘সাউথ কোঅপারেশন (নামনাম)’র সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে তৎকালিন সরকার। কিন্তু চুক্তি হলেও পাথর উত্তোলনে কয়েক দফা উত্তোলন ব্যয় বৃদ্ধি করে প্রতিষ্ঠানটি। মুখ থুবড়ে পড়ে উত্তোলন প্রকল্প। এক পর্যায়ে ২০০৭ সালে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাথর উত্তোলনের চেষ্টা চালায় সরকার। কিন্তু খনির রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচর্যানা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে পাথর উত্তোলন। প্রকল্পটি ছিলো বাণিজ্যিক।এ সময় প্রতি শিফটে পাথর উত্তোলন ছিলো ৩ থেকে ৪শ’ মেট্টিক টন। এতে দ্রুতই লোকসানের মুখে পতিত হয় প্রকল্পটি। কয়েকশ’ কোটি টাকা লোকসানের দায় মাথায় চাপে। সম্পূর্ণরূপে বন্ধের উপক্রম হয়।অব্যহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে অচল হয়ে পড়ে যন্ত্রপাতি।


সূত্রটি জানায়, বর্তমান সরকার দায়িত্বে এসে কঠিন শিলা প্রকল্পকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়। লোকসান বন্ধে খনিব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং পরিষেবা প্রদানে শরণাপন্ন হয় অভিজ্ঞ কোনো প্রতিষ্ঠানের। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে ‘মধ্যপাড়া গ্রানাইটমাইনিং কোম্পানি (এমজিএমসিএল)’ এবং জার্মান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)’রমধ্যে চুক্তি হয়। ৬ বছর মেয়াদি চুক্তির ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাথর উত্তোলন শুরু হয় ২০১৪ সালে।কিন্তুবিপত্তি হয়ে দাঁড়ায়এমজিএমসিএল’র পুরাতন যন্ত্রপাতি। অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি, উত্তোলনকার্যক্রম পরিচালনায় ড্রইং ডিজাইন অনুমোদনে লেগে যায় দু’বছর। এতে তিন বছর নিরবচ্ছিন্ন পাথর উত্তোলন কার্যক্রম ব্যহত হয়।স্টোপ নির্মাণ সহ পাথর উত্তোলন কাঙ্খিত মাত্রায় অর্জন সম্ভব হয়নি।এদিকে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয় আইনগত জটিলতা। বিষয়টি আন্তর্জাতিক আর্বিট্টেশনে ওঠে। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নেতৃত্ব গঠন করা হয় তিন সদস্যের আর্বিট্টেশন বোর্ড। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান এবং আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী এ বোর্ডের অপর দুই সদস্য। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী এম জি এম সি এল এবং জিটিসি’র মধ্যকার চুক্তির মেয়াদ ১ বছর বাড়ানো হয়।সাধারণত: চীন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় উৎপাদন ব্যয়। কিন্তু মধ্যপাড়া কঠিন শিলাপ্রকল্পে উৎপাদনের সাত বছরে সূত্রটিজানায়, বর্তমানসরকার দায়িত্বে এসে কঠিন শিলা প্রকল্পকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়। লোকসান বন্ধে খনি ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং পরিষেবা প্রদানে শরণাপন্ন হয় অভিজ্ঞ কোনো প্রতিষ্ঠানের। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে ‘মধ্যপাড়া গ্রানাইটমাইনিং কোম্পানি (এমজিএমসিএল)’ এবং জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)’রমধ্যে চুক্তি হয়। ৬ বছর মেয়াদি চুক্তির ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাথর উত্তোলন শুরু হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু বিপত্তিহয়ে দাঁড়ায় এমজি এমসি এল’র পুরাতন যন্ত্রপাতি। অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি, উত্তোলনকার্যক্রম পরিচালনায় ড্রইং ডিজাইনঅনুমোদনে লেগেযায় দু’বছর। এতে তিন বছর নিরবচ্ছিন্ন পাথর উত্তোলন কার্যক্রম ব্যহত হয়। স্টোপ নির্মাণ সহ পাথর উত্তোলন কাঙ্খিত মাত্রায় অর্জন সম্ভব হয়নি।এদিকে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয় আইনগত জটিলতা। বিষয়টি আন্তর্জাতিক আর্বিট্টেশনে ওঠে। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নেতৃত্ব গঠন করা হয় তিন সদস্যের আর্বিট্টেশন বোর্ড। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান এবং আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী এ বোর্ডের অপর দুইসদস্য। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী এমজিএমসিএল এবং জিটিসি’রমধ্যকার চুক্তির মেয়াদ ১ বছর বাড়ানো হয়। সাধারণত: চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় উৎপাদন ব্যয়। কিন্তু মধ্যপাড়া কঠিন শিলাপ্রকল্পে উৎপাদনের সাতবছরে ও উত্তোলন ব্যয় বাড়েনি। বিগম সময়ের ঘাটতি পোষাতে এখন কাজ চালানো হচ্ছে তিন শিফটে। চুক্তি মতো তিনশিফটে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ছিলো সাড়ে ৫ হাজার মেট্টিকটন পাথর। কিন্তু এখন তিনশিফটে ৬ হাজার মেট্টিকটন পাথর উত্তোলন হচ্ছে। শতাধিক বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ,অর্ধশত দেশীয় প্রকৌশলী এবং সাড়ে ৭শ’ দক্ষ খনি শ্রমিকের শ্রম-ঘামে ছাড়িয়ে যায় চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা। রেকর্ড পরিমাণ পাথর উত্তোলন হওয়ায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রথম লাভেরমুখ দেখে সরকার। ওই বছর ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা মুনাফা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরও ২২ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনের মধ্য দিয়ে লাভের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখে। চলমান অর্থবছরেও এই ধারাবাহিকতার ক্ষার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এমজিএমসিএল’ র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু দাউদ মুহম্মদ ফরিদুজ্জামান। ‘দি ফিন্যান্স টু’ডে কে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারির মধ্যে দেশের অন্যান্য খনি প্রকল্প গুলো জনবলঅর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। পক্ষান্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মধ্যপাড়া পাথর খনির উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। বর্ধিত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনমাস আগেই আরও দু’টি স্টোপ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। পাথর উত্তোলন হয়েছে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টন পাথর। এ হিসেবে অন্তত: ২০ শতাংশ বেশি পাথর উৎপাদন হয়েছে।
উত্তোলন ব্যয় বাড়েনি। বিগম সময়ের ঘাটতি পোষাতে এখন কাজ চালানো হচ্ছে তিন শিফটে। চুক্তি মতো তিন শিফটে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সাড়ে ৫ হাজার মেট্টিক টন পাথর। কিন্তু এখন তিন শিফটে ৬ হাজার মেট্টিক টন পাথর উত্তোলন হচ্ছে। শতাধিক বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ, অর্ধশত দেশীয় প্রকৌশলী এবংসাড়ে ৭শ’ দক্ষ খনিশ্রমিকের শ্রম-ঘামে ছাড়িয়ে যায় চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা। রেকর্ড পরিমাণ পাথর উত্তোলন হওয়ায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রথম লাভের মুখ দেখে সরকার। ওই বছর ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা মুনাফা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরও ২২ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনের মধ্য দিয়ে লাভের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখে। চলমান অর্থবছরেও এই ধারাবাহিকতা রক্ষার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এমজিএমসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু দাউদ মুহম্মদ ফরিদুজ্জামান। ‘দি ফিন্যান্সটু’ডে কে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারির মধ্যে দেশের অন্যান্য খনিপ্রকল্পগুলো জনবল অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। পক্ষান্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মধ্যপাড়া পাথর খনির উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। বর্ধিত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনমাস আগেই আরও দু’টি স্টোপ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। পাথর উত্তোলন হয়েছে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টন পাথর। এ হিসেবে অন্তত: ২০ শতাংশ বেশি পাথর উৎপাদন হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মধ্যপাড়া কঠিন শিলাপ্রকল্প থেকে শিলা উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানটি (জিটিসি) ভালো করছে। তাদের পারফর্মেন্স পর্যবেক্ষণেরজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করছি তারা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা