April 20, 2024, 2:55 am


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2023-02-28 01:57:37 BdST

হিলিতে এক বছরের সর্বনিম্নে পেঁয়াজের বাজারদর


চাহিদার তুলনায় আমদানি বাড়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমেছে কেজিতে ৩-৫ টাকা। প্রতি কেজির দাম নেমেছে ১৫ টাকায়, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। পাশাপাশি খুচরা বাজারেও মসলাপণ্যটির দাম কমেছে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। এর মধ্যে নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ২২ টাকা। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৬ টাকা দরে, যা আগে ছিল ১৮ টাকা। এছাড়া খুচরা বাজারে ১৮-২০ টাকা, যা আগে ছিল ২৪-২৫ টাকা। দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ২৬-২৭ টাকা।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘‌দেশী পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় কিছুদিন আগে মোকামগুলোয় আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। দাম কমায় মোকামগুলোয় আবারো আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদা তৈরি হয়েছে।’

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘‌কিছুদিন আগে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের ব্যাপক সরবরাহ ছিল। এতে সে সময়ে বন্দর দিয়ে আমদানি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বর্তমানে আমদানির পরিমাণ বাড়ায় দাম সর্বনিম্ন ১৫ টাকায় নেমেছে। দেশীয় পেঁয়াজের তুলনায় আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ২-৩ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।’

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ বলেন, ‘‌দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। সেই সঙ্গে রমজানকে ঘিরে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকগুলো এলসি দেয়ায় বন্দরের ছোট বড় সব ধরনের আমদানিকারকরা পেঁয়াজের এলসি খুলছেন। এলসির বিপরীতে পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বাজারে এখনো দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ফলে দাম কমে এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। পেঁয়াজ আমদানি করে এখন আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমতে শুরু করবে।’ সে সময়ে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বাড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘‌পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আগে বন্দর দিয়ে চার-পাঁচ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৮-১০ ট্রাকে উন্নীত হয়েছে। বন্দর দিয়ে পাঁচ কর্মদিবসে ৫৭টি ট্রাকে ১ হাজার ৭৫১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।’

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা