May 18, 2024, 8:57 pm


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2023-06-11 18:55:45 BdST

ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, চরিত্রস্থলন সহ একাধিক অভিযোগের পাহাড়রাস্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করেও বহাল তবিয়তে মাগুরা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দারুল আলম


দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর নিয়োগ বাণিজ্যে রীতিমতো আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন মাগুরা সদরের ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দারুল আলম। নামে-বেনামে সম্পত্তিসহ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া দারুলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ কর্ম কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে। তবু স্বপদে বহাল আছেন তিনি।

চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই তিনি নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে টাকার পাহাড় গড়তে থাকেন। সেই টাকার প্রতাপে পদোন্নতি পেয়ে মাগুরার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান দারুল অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার মিরপুরে কিনেছেন ফ্ল্যাট। স্ত্রী ও মায়ের নামে ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে গচ্ছিত রেখেছেন মোটা অংকের টাকা।  

দারুল আলমের এ বিস্ময়কর উত্থানের মূলে রয়েছে নিয়োগ বাণিজ্য। তিনি অধিদপ্তরের নিয়োগ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, নড়াইল, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার লোকজনকে ঘুষ নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেন। তার দুর্নীতির ফিরিস্তি ঘাঁটতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

অর্থ আত্মসাৎ 

দারুল আলম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (টিএফপিএ) থাকাকালে তাঁর লাগামহীন দুর্নীতি ঠেকাতে মাগুরা সদরের মাঠ কর্মচারীরা তাকে বদলি করার জন্য আবেদন করেন। দুদকেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এর পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে চাকরিতে ফিরে তিনি ফের দুর্নীতি চালিয়ে যান। সে সময় ভুয়া বিল-ভাউচার ও ভ্রমণভাতা তোলাসহ নানা অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

এর মধ্যে তিনি মাগুরা সদর গোপালগ্রাম পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা মুক্তি রানী কর্মকারের বেতন হতে টাকা আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়টিও তৎকালীন উপ-পরিচালক পর্যন্ত গড়ায়।

এছাড়া দারুল আলম মাগুরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে হিসাব শাখার দায়িত্ব পালনকালে সেখানকার আসবাবপত্র কেনার দরপত্র আহ্বান করলেও কাউকে দাখিল করতে দেয়া হয়নি। নিজেই নামে-বেনামে দরপত্র দাখিল করে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে টাকা হাতিয়ে নেন।

২০০৭ সালে তার লাগামহীন দুর্নীতির বিষয়ে মাগুরার তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী (বর্তমানে গুদামরক্ষক) ফারুক হোসেন।

বর্তমানে একাধিক বিভাগীয় মামলা মাথায় নিয়েই সমানতালে চলছে দারুলের নিয়োগ বাণিজ্য। অভিযোগ উঠেছে, টাকার জোরে পদোন্নতি পেয়ে এখন তিনি অনেক ক্ষমতাবান।

দারুল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (টিএফপিএ) হতে সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে সাতক্ষীরা আশাশুনিতে যোগদান করেন। সেখানে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার না থাকায় তিনি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের দায়িত্ব পেয়ে দুর্নীতির বন্যা বইয়ে দেন। তার দুর্নীতির কারণে এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। মাগুরা সদর হাজিপুর ও কসুন্দি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য বরাদ্দ পেলেও সেখানে তিনি অগভীর নলকূপ স্থাপন করে টাকা আত্মসাৎ করেন।

ঘুষ-দুর্নীতি 

ঘুষ-দুর্নীতি আর নিয়োগ বাণিজ্যে তিনি এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন যে মাগুরা হতে একই পরিবারের ৫ জন এবং অপর পরিবারের ২ জনসহ মোট ১৫ জনকে চাকরি দেন।

একই পরিবারের ৫ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মী হলেন সুরাইয়া আহমেদ, ঝুনা পারভীন, মাহফুজা খানম দিনা, কামরুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন বোন। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এদের বয়স ৪০ বছরের উপরে, যা একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা। এ নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স গোপনসহ আরও অনেক বেআইনি কাজ করেছেন তিনি। ভুয়া অষ্টম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেট, দাই-নার্সের ভুয়া সনদ তৈরিসহ ১৮-২০ বছর আগে তোলা ছবি ব্যবহার করেছেন।

নিজের নিয়োগ বাণিজ্যের স্বার্থে এহেন কোনো বেআইনি পন্থা নেই যা তিনি অবলম্বন করেননি। তার এই বিষয়টি তদন্তনাধীন। তদন্তের পর চলে গেছে প্রায় দুই বছর। কিন্তু ফলাফল শূন্য। ওই তিন বোন এখনও চাকরি করে যাচ্ছেন। কারও কারও নিয়োগে ভুয়া ঠিকানা পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন দারুল আলম। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতা ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তিনি দিনের পর দিন এ ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছেন।

রাস্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা  

দারুল আলমের বিরুদ্ধে ওই তিন বোনকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এবং কিছু দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শেষে ২০২০ সালে তাকে মাগুরা হতে পিরোজপুর নেছারাবাদ উপজেলায় বদলি করা হয়। এরপর আদেশটি পরিবর্তন করে পিরোজপুর নেছারাবাদের স্থলে যশোরের শার্শায় বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি কর্মস্থলে যোগদান না করে ওই অদেশের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১, ঢাকাতে মামলা করেন। যার মামলা নং- ১০১/২০২০। এই মামলায় সহকারী এটর্নি জেনারেল আজিজ মিয়া মিন্টু দারুল আলমের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধচারন করেছেন।

হাইকোর্ট/সুপ্রিম কোর্টের এটর্নি জেনারেল বরাবর প্রেরিত একটি লিখিত অভিযোগের সূত্র ধরে জানা গেছে, সহকারী এটর্নি জেনারেল আজিজ মিয়া মিন্টু দারুল আলমের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে গত দুই বছরেও দারুল আলমের মামলার কোনো জবাব দেননি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক্ষেত্রে কালক্ষেপণের মাধ্যমে আসলে তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি এখনও স্বীয় কর্মস্থলে বহাল আছেন।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এই বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহকারী এটর্নি জেনারেল আজিজ মিয়া মিন্টু কর্তৃক  দারুল আলমের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে কালক্ষেপনের অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক উক্ত মামলা নং ১০১/২০২০ খারিজসহ সহকারী এটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছে।  

স্বজনপ্রীতি 

স্বজনপ্রীতির নগ্নতম উদাহরণ স্থাপন করে নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়োগেও দারুল আলম এগিয়ে আছেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন তার শ্যালিকা শাহানারা খাতুন ও চাচাতো বোন শামছুন নাহার পলি।

দ্যা ফিন্যান্স টুডের বিশেষ অনুসন্ধানী টীম দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে, দারুল আলম যশোরে দুই বছর চাকরি করার পর বদলি হন মাগুরায়। এখানেও শুরু করেন নিয়োগ বাণিজ্য। ভিন্ন জেলায় স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে নিজের শ্যালিকা শাহানারা খাতুনকে নিয়োগ দেন মাগুরার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের 'পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা' পদে।

শাহানারার স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠে আসে 'দ্যা ফিন্যান্স টুডে'র অনুসন্ধানী টীমের কাছে। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে এবং উপযুক্ত নথিপত্র ঘেটে দেখা যায়, শাহানারার স্থায়ী ঠিকানা মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামে। এই তথ্য তার প্রথম স্বামী মোঃ ফয়সাল হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যৌতুক বিরোধী আইনের মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যখন তিনি চাকরি নেন, তখন মাগুরা জেলার কোনো কোটা ছিল না।

যশোর জেলার কোটা পেতে দারুল আলমের সহায়তায় শাহানারা খাতুন তার স্থায়ী ঠিকানা দেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নে। এ বিষয়ে হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া একটি পত্রে সেই এলাকায় শাহানারা খাতুন নামে কেউ নেই বলে জানানো হয়।

ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাকিমপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন টাইগার বলেন, 'শাহানারা খাতুন নামে এই এলাকায় কেউ নেই।'

অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহানারা খাতুন বলেন, 'আমার দুলাভাই আমাকে চাকরি দেননি। আমি আমার যোগ্যতা দিয়েই চাকরি পেয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।'

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ

দারুল আলম তার নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থ লেনদেন করেন তার বড় ভাই নুহু দারুল হুদার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাগুরা শাখার একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। তার বেনামে অনেক সম্পত্তি থাকলেও প্রকাশিত সম্পত্তির মধ্যে মাগুরা পিটিআইর সামনে গ্যাডো ক্লিনিকের ৭ শতক জমির আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা। পারনান্দুয়ালীর ১১ শতক জমির আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা। দলিলে তিনি এসব জমির দাম দেখিয়েছেন অনেক কম।

চারিত্রিক স্খলন

দারুল আলমের চারিত্রিক স্খলন নিয়েও আছে বিস্তর অভিযোগ। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। একাধিকবার এ ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে ধরা পড়লেও ভুক্তভোগীর মানসম্মান ও সামাজিক কারণে কেউ মুখ খোলেন না। এর বাইরেও অনেককে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদা ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারী মেরিনা সুলতানার বেতন-ভাতাদি প্রায় ৪ বছর ধরে বিধিবহির্ভূতভাবে আটকে রেখেছেন দারুল আলম।

সম্প্রতি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে মেরিনা সুলতানার যাবতীয় পাওনা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিশোধের আদেশ জারি হলেও এখনো সেই টাকা পরিশোধ হয়নি। উলটো মেরিনার কাছে পাওনা টাকার অর্ধেক ঘুষ দাবি করেছেন তিনি।

এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি, কোটা না থাকা সত্বেও ভুয়া তথ্য দিয়ে 'পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা' পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে বাগেরহাটের জনৈকা নাদিরা ইয়াসমিনের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছ থেকে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ টাকা) ঘুষ নেন। এমনকি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ভুয়া ভাইভা বোর্ড গঠন করে উক্ত জান্নাতুল ফেরদৌসের ভাইভাও নেয়া হয়। কিন্তু চুড়ান্ত ফলাফলের তালিকায় জান্নাতুল ফেরদৌসের কোন নামই ছিল না। অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে ঘুষের পুরো টাকাই তিনি আত্মসাৎ করেন। 

পরবর্তীতে ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে ১৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে দারুল আলমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর নিকটাত্মীয় সাবেক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেবেকা খাতুন।

এছাড়াও দারুল আলমের বিরুদ্ধে দুদকে শত অভিযোগ থাকা সত্বেও তথ্য গোপন করে ২০/১০/২০২১ ইং তারিখে মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং- পপ/শা-১/সপপক (চঃদাঃ)/৭৭৫/২০১০ একটি পত্রে অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বা দিয়ে নিজের জন্য সিলেকশন গ্রেড/টাইম স্কেল নিয়েছে যা সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ম শৃঙ্খলাবিধির সুস্পষ্ট লংঘন।  

এই বিষয়ে জানতে দারুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। দারুল আলম 'দ্যা ফিন্যান্স টুডে'কে বলেন, "আমার বিরুদ্ধে আনীত এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই সকল অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে।"

তবে, 'দ্যা ফিন্যান্স টুডে'র বিশেষ অনুসন্ধানী টীম রীতিমতো হতবাক মাগুরা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দারুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা এতসব অভিযোগের ব্যাপারে নিবিড় অনুসন্ধান চালিয়ে।

দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাস্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতি,  নৈতিক চরিত্র স্থলন সহ হেন কোন অপরাধ নেই যা তিনি করেননি তার দীর্ঘ চাকুরী জীবনে। এত সব অপরাধ করেও কিভাবে দারুল আলম এখনও বহাল তবিয়তে সরকারি চাকরি করছেন; সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।  

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা