May 18, 2024, 10:48 pm


নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী

Published:
2023-07-31 19:34:09 BdST

রাজবাড়ীতে মাছের চাহিদা ২৫,৩৯০ মেট্রিক টন।উৎপাদন ২৯৩৩৫ মেট্রিক টন


রাজবাড়ী মাছের চাহিদা ২৫৩৯০ মেট্রিকটন উৎপাদন ২৯৩৩৫ মেট্রিকটন। মৎস সপ্তাহে মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পুরণ নিয়ে সংশয়ে আছেন খোদ মৎস কর্মকর্তারাই।

রাজবাড়ীর অনেক নদীতে এবং জলাশয়ে পাট জাগ দেয়া হয়েছে যার কারণে মারা যেতে পারে অভয়াশ্রমের মা মাছ। পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস বৃদ্ধি ও অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায়ও শংকা দেখা দিয়েছে।

সরোজমিনে দেখা যায় রাজবাড়ীর হড়াই নদী সহ বিভিন্ন বিল, জলাশয়ে পাট জাগ দেয়া হয়েছে। ফলে এমন আশংকা দেখা দিয়েছে। এসব জলাশয় অভয়াশ্রমের মা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ মারা যাবে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৎস কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি, বিভিন্ন জনসচেতনা সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা এবং যোগাযোগ করছি।

তিনি বলেন আমরা বিষয়টা স্বীকার করছি যে নদীতে কিংবা জলাশয়ে পাট জাগ দেয়ার এবার নদীতে মাছের উৎপাদন কমবে। এবং ফিরে আসা বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলো আবার হারিয়ে যাবে বলে আশংঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী থেকে বেলগাছি পর্যন্ত নদীর দু’ধার ঘুরে দেখা গেছে, নদীর দুই তীরে সারি সারি করে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে।

সরোজমিনে দেখা যায় হড়াই নদীতে কেউ পাট নতুন করে জাগ দিচ্ছেন, কেউ বা আঁশ ছাড়াচ্ছেন, কোথাও কোথাও পাট পচে কালো রং ধারণ করেছে। এমনকি পানির রংও বিবর্ণ হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা পাট জাগ দেওয়ার কারণে মাছ মারা যাবে এমন স্বীকার করে বলেন, ভরা শ্রাবণেও বৃষ্টির দেখা নাই, আমরা পাট জাগ দেয়ার পানি পাচ্ছি না বাধ্য হয়ে এখানে জাগ দিচ্ছি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই কৃষকরা নদীতে পাট জাগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কারণ অনাবৃষ্টি, প্রচণ্ড খরার কারণে খাল-বিল-জলাশয়গুলোতে পানির দেখা মিলছে না। এই সময়ে পাট কাটার পর মাটিতে ধান চাষ করা হয়। কিন্ত বৃষ্টির অভাবে ধান চাষ তো হচ্ছেই না এমনকি ধানের বীচ তলাই তৈরি করতে পারছে না।

কৃষিকাজে সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ হতাশা ব্যক্ত করে বলছেন, কৃষিকে বাঁচাতে গিয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। বেলগাছি গ্রামে অভয়াশ্রমের পাশের বাসিন্দা সাঈদ জানান বিষরটা আমরা জানি আমরা বাধ্য হয়েই জমির চারপাশে বাধঁ দিয়ে স্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিচ্ছি পাট জাগ দেয়ার জন্য। অথচ এসব বিলে এই সময়ে মাছের পোনা দেয়া হতো।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা