April 29, 2024, 6:15 am


নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী

Published:
2023-11-13 11:31:47 BdST

আজ মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৬ তম জন্মবার্ষিকী


বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ এবং কারবালার যুদ্ধকে উপজীব্য করে রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ-সিন্ধু’র রচয়িতা সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৬ তম জন্মবার্ষিকী আজ।

১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়ার সম্ভ্রান্ত সৈদয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন সৈয়দ মীর মুয়াজ্জম হোসেন ও মা দৌলতন নেছা। মীর’ উপাধি প্রাপ্ত হয়েছিলেন তাঁর পূবর্পুরুষ থেকে।

মীর সাহেবের পৈতৃক নিবাস রাজবাড়ী জেলার পদমদী গ্রামে। মীর মোয়াজ্জম হোসেন ছিলেন লাহিনীপাড়ার নিকটবতী সাঁওতা গ্রামের জমিদার। তার পিতা মীর এবরাহিম হোসেন সাঁওতার তৎকালীন জমিদার আনার খাতুনের কাছ থেকে জমিদারী লাভ করেন”।

মাত্র আঠার বছরে বয়সে তারঁ পিতৃবন্ধুর কন্যা আজিজুন্নেসার সাথে বিয়ে হয়। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেলদুয়ার এস্টেটে ম্যানেজার থাকাকালেই মীর মশাররফ হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির পদমদী গ্রামে সমাহিত করা হয় মহান এই মনীষীকে

তিনি প্রথম বাঙ্গালী মুসলিম উপন্যাসিক ও নাট্যকার এবং জীবন চরিত রচয়িতা করেছেন। মুসলমানদের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রথম সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনার গৌরবও তাঁরই প্রাপ্য।

মীর মশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকী ঘিরে প্রতি বছর বাংলা একাডেমি মীরের সমাধীস্থল পদমদীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকলেও এ বছর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি তাঁরা।

এদিকে মীর মশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র, মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রী কলেজ, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বলে জানান রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির ইউএনও রফিকুল ইসলাম।

তবে বাংলা একাডেমির পক্ষে মীর মশাররফ হোসেনের সমাধীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং সুবিধামতো সময়ে রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন, মানবসম্পদ ও পরিকল্পনা বিভাগ) ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম।

বাংলার মুসলিম সমাজের দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীর জড়তা দূর করে আধুনিক ধারায় ও রীতিতে সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত ঘটে তাঁর শিল্পকর্মের মাধ্যমে।

তাঁর লেখা উপন্যাস ‘উদাসী পথিকের মনের কথা’ (১৮৯০), ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’, ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩), আত্মকাহিনীমূলক রচনাবলী ‘আমার জীবনী’, ‘বিবি কুলসুম’ (১৯১০), সহ বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি বই বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি হয়ে রয়েছে।

এই অনন্য প্রতিভাবান গদ্য শিল্পীর গ্রন্থসংখ্যা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চল্লিশ। অজ্ঞাত রচনা থাকতে পারে, যা এখনো আলোচিত হয়নি।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা