May 15, 2024, 6:09 am


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2023-11-20 01:28:13 BdST

১৭৫ আসনে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী, জামায়াত ২০টিতে


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। কিন্তু দলগতভাবে বিএনপি নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও বিএনপির বহু নেতা এবং মাঠপর্যায়ের কর্মীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে এবং বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত খবরগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, অন্তত ১৭৫ টি আসনে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান।

তারা কোন দলীয় প্লাটফর্ম থেকে নয়, বরং নিজের যোগ্যতা এবং অবস্থান থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। এছাড়াও বিএনপির আরও অন্তত ১০০ জন প্রার্থী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করবেন এবং সেখান থেকে তারা মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। 

বিএনপি ইতোমধ্যেই নির্বাচনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, বিএনপি থেকে যারা নির্দেশ অমান্য করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়াবে, তারা যে পদেই থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বিএনপি শুধু একা নয়, জামায়াতে ইসলামীরও অন্তত ২০ জন প্রার্থীর কথা শোনা যাচ্ছে এবং তারা দৃশ্যমান হয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকাগুলোতে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, বিএনপি নেতাদেরকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য নানা রকম টোপ দেওয়া হচ্ছে, নানা রকম লোভ দেখানো হচ্ছে। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে তাদেরকে কি কি দেওয়া হবে সেসব নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিরা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

কিন্তু বিএনপিতে যারা নির্বাচন করতে ইচ্ছুক, এরকম ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোন লোভ বা প্রলোভন নয় বরং অস্তিত্বের প্রয়োজন তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছেন। 

বিএনপিতে যে ১৭৫ টি আসনে বিভিন্ন নেতারা প্রার্থী হতে চান তারা বলছেন যে এলাকাগুলোতে তাদের অত্যন্ত শক্ত অবস্থান রয়েছে। এলাকায় তারা দীর্ঘদিন কাজ করেছেন এবং নির্বাচন যদি না করা হয় তাহলে তাদের সমর্থন এবং সংগঠন দুটি হুমকির মুখে পড়বে। কারণ নির্বাচন একটি সংগঠনকে শক্তিশালী করে। নির্বাচনই সংগঠন গোছানোর সবচেয়ে কার্যকর এবং সহজ পথ। আর এ কারণেই বিএনপির নেতৃবৃন্দ যারা নির্বাচন করতে চান তারা মনে করছেন যে, না আন্দোলন না নির্বাচন এই কৌশল কখনো ইতিবাচক হতে পারে না।

যারা নির্বাচনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন, বিএনপি যদি শক্ত সমর্থ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারত যে আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সরকারকে চাপে ফেলত, নির্বাচন অনিশ্চিত করে তুলতে পারত, সে রকম আন্দোলন হলে তারা নির্বাচন করতে না। কিন্তু এখন যে ধরনের আন্দোলন হচ্ছে এই ধরনের আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন প্রতিরোধ করা যেমন সম্ভব না তেমনি এই আন্দোলন বিএনপির জন্য আত্মঘাতী। একটি নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর বিএনপির আর কোনো কিছুই থাকবে না। এক্ষেত্রে তারা ২০১৪ সালের উদাহরণ দিচ্ছেন।

আর বিএনপির মধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান তারা মনে করছেন যে এবার তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। তাদের হিসেব হল যে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বহু স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফলে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী একটা ভালো সুযোগ পাবে। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ভোট বিভক্ত হবে। ফলে বিএনপির যারা স্বতন্ত্র, তারা একটি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারবে। 

অন্যদিকে জামায়াতের যারা জনপ্রিয় এবং নিজেদের এলাকায় তাদের অবস্থান ভাল রয়েছে এরকম অন্তত ২০ জন প্রার্থী আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

এরকম অংশগ্রহণ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ করবে এবং এর ফলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা