April 29, 2024, 3:12 am


আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক

Published:
2023-12-13 10:02:35 BdST

জাদু জানেন পুতিনযুদ্ধের মধ্যেও বেশ চাঙা রুশ অর্থনীতি!


রাশিয়া চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সকল চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল। যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমারা। পাশাপাশি ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং তহবিলও জোগান দিয়েছে তারা। মস্কোর বিরুদ্ধে তাদের এ নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনকে কৌশলগত তহবিল জোগান দেয়ার মূল কারণ, যাতে পুতিন সরকারের পতন ঘটানো যায়।

কিন্তু এত কিছুর পরও একেবারেই দমে যাননি পুতিন। পশ্চিমারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। বরং উল্টো প্রেসিডেন্ট পুতিন তাদের ভুল প্রমাণ করে যুদ্ধের মধ্যেও রুশ অর্থনীতিকে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি চাঙা রেখেছেন।

ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধকালীন অর্থনীতির দিকে তাকালে দেখা যায়, দেশটির বিরুদ্ধে এত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে ভালো ভাবেই। বিশেষ করে সেবা খাত। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোও এ কথা স্বীকার করেছে।

মস্কোর সেবা খাতের মূল্যস্ফীতি চড়া, যার মধ্যে আছে আইনি পরামর্শের মাশুল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ব্যয়—সবকিছুই। মস্কোর রিটজ কার্লটন হোটেল এখন শুধু কার্লটন নামে পরিচিত, সেই হোটেলে রাত্রিযাপনের ব্যয় যুদ্ধ শুরুর আগে ছিল ২২৫ ডলার, কিন্তু এখন তা ৫০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার ব্যাংকিং খাত থেকে শুরু করে উৎপাদন খাত বেশ অবনতির মুখে ছিল। কিন্তু এখন তা কাটিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জাতীয় পর্যায়ে ভোক্তা বৃদ্ধি ও সরকারের সহযোগিতার কারণে এই ধাক্কা কাটানো সহজ হয়েছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তৎপরতা দেখিয়েছে রাশিয়ার ব্যাংকিং খাত। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অন্যান্য দেশের ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হয়েছে রুশ ব্যাংকগুলোকে।

তবুও রাশিয়ার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সেবেরসহ অন্যান্য বড় ব্যাংকগুলো চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা অর্জন করেছে। সেবের ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হেরমান গ্রেফ বলেছেন, ২০২৩ সাল রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল বছর।

এদিকে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা ভাণ্ডার ফুরিয়ে আসছে। দেশটিকে দেওয়ার মতো আর কোনো অর্থ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। সিনেট ইউক্রেনের জন্য অর্থ সহায়তা তহবিলও পাস করেনি।

কংগ্রেস নতুন অর্থায়নে সম্মতি না দিলে যুদ্ধে জিতে যেতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউস এই সতর্ক বার্তা দিয়েছে।

তখন বলা হয়, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা শেষ হয়ে গেলে কিয়েভের লড়াই স্থবির হয়ে পড়বে। যদি এমনটা ঘটে তাহলে ইউক্রেনে পুতিনের জয় প্রায় নিশ্চিত।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা