May 19, 2024, 5:54 pm


নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী

Published:
2024-01-06 12:14:28 BdST

রাজবাড়ীতে শোকের ছায়াবাবার দাফন শেষে ফেরার পথে ট্রেনে পুড়ে মেয়ের মৃত্যু


রাজবাড়ী থেকে বাবার দাফন শেষে ভাই-ভাবির সঙ্গে সন্তানকে নিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় ফিরছিলেন এলিনা ইয়াসমিন। সেই ট্রেনে লাগা আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয় এলিনার দেহ। ভাগ্যক্রমে বেঁচে আছে তার পাঁচ মাসের শিশু সৈয়দ আরফান। এলিনার স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ঢাকার বাসায়ই ছিলেন।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসে নিহত চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আনা হলে তার স্বজনরা ভিড় করেন। তাদের দাবি, মর্গে আনা চার মরদেহের মধ্যে তার মরদেহ রয়েছে।

সাজ্জাদ হোসেনের বড় ভাই মুরাদ হোসেন জানান, এলিনা তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। ১০ দিন আগে এলিনার বাবা মারা গেছেন। বাবার দাফন সম্পন্ন করে ঐ দিনই তারা সন্ধ্যায় বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকায় ফিরছিলেন।

পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায় তারা সারারাত বিভিন্ন জায়গায় এলিকে খুজেঁছেন। কোথায়ও পাওয়া যায়নি। মর্গে রাখা লাশ এলির কিনা নিশ্চিত হতে পারছে না।

ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক সেতাফুর রহমান বলেন, মরদেহ চারটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। দেখে এদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন শিশু এবং বড় চুল দেখে একজনকে নারী হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকি একজন পুরুষ না কি নারী তা দেখে বোঝার উপায় নেই।

তিনি আরও বলেন, রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ চারটি মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। আজ ময়নাতদন্ত হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে।  

প্রতিদিন সন্ধ্যায় রাজবাড়ী থেকে ন্যুনতম ৫০ জন যাত্রী নিয়ে সপ্তাহে একদিন বন্ধ রেখে নিয়মিত ভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা