July 27, 2024, 10:37 am


বিশেষ প্রতিনিধি:

Published:
2024-05-14 20:18:14 BdST

হাতিয়ে নিয়েছে শতকোটি টাকা সহযোগী আওয়ামীলীগের দুই নেতাচট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম মহা প্রতারক


  • জামাত নেতার প্রতারনায় নি:স্ব বিনিয়োগ কারীরা
  • সহযোগী আওয়ামীলীগের দুই নেতা
  • প্রতারনার ক্ষেত্র কুমিল্লার পপুলার হাসপাতাল, কুরিয়ার সার্ভিস ২৪, এগ্রো লি:
  • আরেক প্রতারনা প্রতিষ্ঠান আইসিএল এর সাথে যৌথ ব্যবসা

মোঃ রেজাউল করিম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি। তিনি কুমিল্লার সন্তান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি। বর্তমানে জামাতের নেতা। উক্ত জামাতের নেতা রেজাউল করিম একজন মহা প্রতারক। তার প্রতারণার জাল চট্টগ্রাম কুমিল্লা নোয়াখালী ও ঢাকা সহ দেশব্যাপী। তার প্রতারণার জালে ধরা খেয়ে কোটি কোটি টাকা খুইয়ে পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগীরা। আর জামাত নেওয়ার এ প্রতারনাকে ঢাকতে তিনি ব্যবহার করেছেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। আওয়ামী লীগের নেতারা এখন জামাত নেতাদের প্রতারণা ঢাকতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এরমধ্যে একজন ওলামালীগের উপদেষ্টা বরিশালের অন্যজন কিশোরগঞ্জের।

জামাত নেতার যত প্রতারনা:

কুরিয়ার সার্ভিসের নামে প্রতারনা:

দেশের শীর্ষ প্রতারক, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বহু মামলার পলাতক আসামী রেজাউল করিমের নতুন প্রতারনার ফাঁদ 'কুরিয়ার সার্ভিস ২৪ লিমিটেড'। ইতোমধ্যে কুরিয়ার সার্ভিস ২৪ নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করে এই ভিপি রেজাউল, তার কথিত ভাতিজা মফিজুর রহমান শাহীন, সাবেক কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ এর সাবেক ডিজিএম মোতাহার হোসেন, বায়তুশ শরীফ মাদ্রাসার শিক্ষক শাহজাহান মিয়া, হারুনুর রশিদ, আবু বকর সিদ্দিক, মাহমুদুল হাসান, জাকির হোসেন, শিপন মিয়া, সহ জামাত শিবিরের একটি চক্র সারা বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা।

কুমিল্লার লাকসামের শীর্ষ সন্ত্রাসী, কুখ্যাত জংগী ক্যাডার, হাজার হাজার মানুষের সাথে বহুমুখী প্রতারনা করে অসংখ্য মামলার পলাতক আসামী মুহাঃ রেজাউল করিম অবশেষে নতুন প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে। দীর্ঘদিন পলাতক এ দূর্দান্ত প্রতারক রাজধানীর মতিঝিলের মডার্ন ম্যানসনে অফিস স্থাপন করে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যাবসা পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এজেন্ট নিয়োগ করে, এজেন্ট নিয়োগ দিতে প্রতি এজেন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার জামানত নিয়ে আত্বগোপনে আছে।

শুধ‍ু তাই নয় প্রতারনার মাধ্যমে ভাড়া করার গাড়ী দিয়ে ব্যবসা দেখালে ও বাস্তবে কোন গাড়ী ছিল না। ভাড়া করা গাড়ীর ভাড়া টাকা পায়নি গাড়ীর মালিকেরা। এমনকি গাড়ীর তেল সরবরাহ করার এজেন্টও ২০ লাখ টাকা পাবে।

এটা তার নতুন ফাঁদ, এ পক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়। সাবেক শিবির ক্যাডার ছিল এ প্রতারক, এ সুবাদে তার প্রতারনার টার্গেট হচ্ছে শিবিরের বেকার কর্মীরা। ইতিমধ্যেই অসংখ্য শিবির কর্মী তার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে পথে ঘুরছে।

হাসপাতালের নামে প্রতারনা:
তার নিজ এলাকায় কুমিল্লায় শহরে পপুলার হাসপাতাল প্রাঃ লিঃ নামে একটি হাসপাতাল রয়েছে। উক্ত হাসপাতালের ২২টি শেয়ারের মধ্যে ২১টি শেয়ার আরেক প্রতারনা প্রতিষ্ঠান প্রতারক সফিকুল রহমানের আইডিয়েল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের। কিন্তু এই জামাত নেতা অনৈতিক পন্থায় সে এবং তার স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠানটি কুক্ষিগত করে নেয়।কুমিল্লা অঞ্চলের আইসিএলের গ্রাহক কর্তৃক পুনঃ দখলের জন্য আইনি ব্যবস্থা উদ্যোগ নিচ্ছে ।উল্লেখ্য যে আইডিয়াল কো-অপারেটিভ গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে।এক প্রতারনা প্রতিষ্ঠান আরেক প্রতারনা প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা করার উদ্দেগ নিচ্ছে।

জানা যায় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই প্রতারক আত্মগোপনে চলে যায়। এক পর্যায়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়েও শুরু করে নতুন প্রতারনার ফাঁদ, প্রবাসী শিবির কর্মীদের টার্গেট করে, সৌদি আরবের রিয়াদে প্রতিষ্ঠা করে 'আন- নাখিল' নামে একটি হাসপাতাল। একই কায়দায় ঐ হাসপাতালের শেয়ার বিক্রি করে প্রবাসীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। এক পর্যায়ে সকল টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে আসে। হাসপাতালটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।

এখন আবার কুরিয়ার সার্ভিস ?? এজেন্সির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ?? যার কাছে হাজার হাজার মানুষের কোটি কোটি টাকা পাওনা সে ঐ টাকা না দিয়ে নূতন করে এজেন্সি দেওয়ার নাম 'করে নতুন প্রতারনার ফাঁদ ?? শুধু আইসিএল নাম একটি কোম্পানি চৌদ্দ কোটি তেষট্টি লক্ষ টাকার মামলা করেন এই প্রতারকের বিরুদ্ধে। যা এখনো চলমান রয়েছে, রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ। মামলা নং- সি.আর-৯৫৩, ৯৫৯, ৯৮৩, ৯৮৫, ৯৮৬, ৯৮৮/১৭, ১৪৭৬/১৯, সিএমএম, ঢাকা এছাড়া দেশের বিভিন্ন আদালতে অসংখ্য প্রতারনার মামলা রয়েছে।

এগ্রো নামে প্রতারনা করে লিজিং কোম্পানী থেকে ঋণ তোলার পাঁয়তারা:-

এছাড়াও উক্ত শিবির নেতা বর্তমানে জামাত নেতা সর্বপ্রথম এগ্রো এজেষ্টের নামে প্রতারনা শুরু করেন। তার কোন মৎস্য প্রকল্প না থাকলে ও লিজিং কোম্পানী থেকে কয়েক কোটি টাকার উত্তোলন করার পায়তারা করছে। যে কোনো সময় প্রতারক রেজাউল করিম দেশ ছেড়ে ছেলের কাছে লন্ডনে পালিয়ে যেতে পারে। আর এ কাজে সহযোগিতা করছে তথাকথিত ওলামালীগের নামধারী দুই নেতা।

পরবর্তী পর্বে প্রতারক রেজাউল করিম ও তার সহযোগিদের আমল নামা ও দুর্নীতির চিত্র প্রকাশিত হবে।

 

 

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা