September 8, 2024, 5:52 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2024-07-16 20:56:11 BdST

পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কর্মব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। সকালে তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি ফেলোশিপ প্রাপ্তদের মাঝে সনদ বিতরণ করেছেন।

এরপর তিনি গণভবনে দফায় দফায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সম্পর্কে তিনি খোঁজখবর নিয়েছেন। এই আন্দোলনকে কারা অন্য খাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশে ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন এবং সেই বৈঠকে যে কোনও অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক প্রতিরোধের ব্যাপারে আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগের করণীয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি জনগণের জানমাল হেফাজতের জন্য বিজিবিকে নামানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিকেলে বিজিবি মাঠে নামিয়েছে। 

বিজিবি মাঠে নামার পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রী এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা বলেছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবং আপিল বিভাগের নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা কোটা সংক্রান্ত রিট পিটিশনটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন না। 

সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী যে কোনও মূল্যে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন মহলকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে যে কোটা আন্দোলনের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে এবং যারা এখন নাশকতা করছে বিশেষ করে মেট্রোরেলে হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের পিছনে রাজনৈতিক মদদ আছে। এবং এই মদদ লন্ডন থেকে আসছে।

জামায়াত যে কোটা আন্দোলনের মদদদাতা এবং তাদের কারণে যে এ ধরনের নাশকতাগুলো হচ্ছে সেটি মোটামুটি ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই তথ্যগুলো প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহ করেছেন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা