September 8, 2024, 5:55 am


নেহাল আহমেদ

Published:
2024-07-17 19:31:53 BdST

আজ বিজন ভট্টাচার্যের জন্মদিন


আজীবন কমিউনিস্ট বিজন ভট্টাচার্য কিভাবে এ কথা বলতে পারেন আমার খটকা লেখেছিলো।আসলে মানুষের কাছে না গেলে হয়তো মানুষ বোঝা যায় না।

তিনি বলেছিলেন I am prepared to accommodate the belief of my people. এ রকম একটা প্রশ্ন জীবননান্দ দাশকেও করা হয়েছিলো তাকে বলা হয়েছিলো আপনি ঈশ্বর কে বিশ্বাস করেন? উত্তরে জীবননান্দ বলেছিলেন আমি মানুষের রীতিকে বিশ্বাস করি।

বিজন ভট্টাচার্য সম্পর্কে ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন, বিজনবাবুই প্রথম দেখালেন যে কী করে জনতার প্রতি দায়িত্বশীল হতে হয়, কী করে সম্মিলিত অভিনয়ধারার প্রবর্তন করা যায় এবং কী করে বাস্তবের একটা অংশের অখণ্ড রূপ মঞ্চের উপর তুলে ধরা যায়।

১৯১৫ সালের ১৭ জুলাই আজকের দিনে বর্তমান বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার খানখানাপুর গ্রামে জন্ম হয় বিজন ভট্টাচার্যের।

তাঁর বাবার নাম ক্ষীরোদ বিহারী ও মা সুবর্ণপ্রভা দেবী। তাঁর বাবা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন৷ ১৯৩০ সালে পড়াশোনার জন্য বিজন ভট্টাচার্য কলকাতা চলে আসেন।

তাঁর স্ত্রী ছিলেন বিখ্যাত লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী এবং পুত্র ছিলেন প্রথাবিরোধী কবি নবারুণ ভট্টাচার্য।

পিতার কর্মসূত্রে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করার সুবাদে তিনি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হন। ফলে তাদের সংগ্রামী জীবন ও আঞ্চলিক কথ্য ভাষার ছাপ তার রচিত নাটকে পরিলক্ষিত হয়।

বিজন ভট্টাচার্য অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন। পরে কলকাতার আশুতোষ কলেজ ও রিপন কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি জাতীয় আন্দোলনে যোগ দেন এবং মহিষবাথানে লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন।৷ ১৯৩৪-৩৫ সালের ছাত্র আন্দোলনের কর্মী হিসেবে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। কিছুদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরিও করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে তিনি মাতুল সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদারের অরণি পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হন। ১৯৪২ সালে সক্রিয় কর্মী হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ভারত ছাড় আন্দোলন, জনযুদ্ধনীতি প্রচার, ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পীসংঘ স্থাপন এবং প্রগতি লেখক সংঘ ও ভারতীয় গণনাট্য সংঘ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। কেন্দ্রীয় সংগীত নাটক আকাদেমি, পশ্চিমবঙ্গ সংগীত নাটক আকাদেমি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পুরস্কৃত করে। ১৯৭৮ সালের ১৯ জানুয়ারি এই গুণীজন মারা যান।

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে তিনি পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তবে তাদের দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিজন ভট্রাচার্যের পুত্র নবারুণ ভট্টাচার্য প্রথাবিরোধী কবি ছিলেন।

১৯৭৮ সালের ১৯ জানুয়ারি এই গুণীজন মারা যান। কবির উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তিন একর পঞ্চাশ শতাংশ জায়গার এখন কিছু অংশ কোন রকম টিকে আছে। বাকি সব বেহাত হয়ে গেছে। তার কাকা গোবিন্দ মোহন লস্কর এবং কাকার বোনকে বিহারীরা বীভৎসভাবে হত্যা করে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা