September 8, 2024, 5:49 am


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2024-07-17 21:32:34 BdST

গনপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাসের নানা অপকর্মের উন্মোচন


পবিত্র কুমার দাস, গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী কিন্তু তার কাজের সাথে নামের ফারাক যেন আকাশ পাতাল। নাম পবিত্র হলেও অনিয়ম ও দুর্নীতিতে তিনি যেন এক ‘মাস্টারমাইন্ড’।

তাকে ঘিরে দরপত্রে অনিয়ম, কাজের আগে বিল পরিশোধ, দীর্ঘদিন ধরে প্রাইজপোস্টিং প্লেস অর্থাৎ ঢাকায় পদায়ন, একসঙ্গে দুই সংস্থায় চাকরি, নারী কেলেংকারী এবং চাকরিচ্যুত হওয়ার পর পুনরায় চাকরিতে ফেরার মতো ঘটনা ঘটেছে গণপূর্ত অধিদপ্তরে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রথমে ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত শুরু হলেও পরে সব মিটমাট হয়ে যায়। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া এই প্রকৌশলীর আর শাস্তি পেতে হয় না।

এক বিশেষ অনুসন্ধানে অধিদপ্তরের গণপূর্ত বিভাগ-৬ এর ই/এম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাসের বেশ কিছু অপকর্মের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাকরিজীবনে বেশিরভাগ সময় পবিত্র কাটিয়েছেন ঢাকায়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর উন্নয়ন প্রকল্প, পুলিশ ও র‍্যাবের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন তিনি।

বিলে নয়-ছয়, কমিশনের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ায় সিদ্ধহস্ত তিনি। এরই মধ্যে দুইটি কাজে তার এহেন অপকর্মের প্রমাণ মিলেছে তার বিরুদ্ধে।

মুগদা হাসপাতালের অনিয়ম

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নানা ধরনের সংস্কারের জন্য মোট ২২টি কার্যাদেশ দিয়েছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর। এর মধ্যে একটি কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। বাকি ২১টি কার্যাদেশের বিপরীতে কোনো কাজই হয়নি। অথচ এরই মধ্যে সব কাজের ঠিকাদাররা তাদের পুরো বিল তুলে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে দেওয়া এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।

নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের সংস্কারের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে দরপত্রের মাধ্যমে মোট ২২টি কার্যাদেশ দেওয়া হয়। নিয়ম অনুসারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসব কাজ সম্পন্ন করে বিল উত্তোলন করবে। তবে এক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-৬-এর আওতাধীন এই কাজ সম্পন্ন না করেই বিল তুলে নিয়ে ভাগাভাগি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রনি এই ঘটনার নেপথ্য নায়ক বলে জানা গেছে। তারা ২২ কাজে বরাদ্দ থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকা ভুয়া বিল ভাউচারে আত্মসাৎ করেছেন।

সুষ্টু তদন্ত হলে নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রনি এই ঘটনায় ফেঁসে যেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন গণপূর্তের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারি।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে দেওয়া মুগদা হাসপাতালের পরিচালকের চিঠিতে বলা হয়, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে গণপূর্ত ই/এম বিভাগ কর্তৃক নির্মাণ/সংস্কার কাজের বিপরীতে ২২টি কাজের প্রত্যয়নপত্রের জন্য কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। ওই ২২টি কাজের মধ্যে ২১টির দাখিলকৃত কার্যাদেশ অনুযায়ী কোনো কাজই সম্পাদন করা হয়নি। গণপূর্ত ই/এম বিভাগকে বারংবার বলার পরও তারা নির্মাণ ও সংস্কার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করছে না।’

জানা গেছে, মুগদা হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ছয় সদস্যের কমিটির সরেজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদনে কাজ না করার বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ২১টি কাজ সম্পন্ন করা হয়নি।

কমিটির সদস্য এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা সরেজমিন পরিদর্শনে যে তথ্য পেয়েছি, তা পরিচালক স্যারের কাছে হস্তান্তর করেছি।’

এ বিষয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রান্তিক ভোক্তা। সেক্ষেত্রে কী কাজ সম্পন্ন হয়েছে সে রকম একটা মতামত দিতে হয়। প্রতিবারের মতোই কাজের সর্বশেষ অবস্থা নিরূপণের জন্য আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার এবং সম্পন্ন কাজ দেখে তারা একটি মতামত দিয়েছেন। আমরা লিখিতভাবে ওই বিষয়টা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। মন্ত্রণালয় টাকা দিয়েছে, বিচারের দায়িত্বও তাদের। আমরা কেবল আমাদের মতামত জানিয়েছি।’

জানা গেছে, ২২টি কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বাবর অ্যাসোসিয়েটস, রফিক ট্রেডার্স, অনিক কনসোর্টিয়াম, ব্রাইট ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন, ম্যালার্ড করপোরেশন, স্মাইল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স এস এ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স শেখ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ, দিপ্র কনস্ট্রাকশন, মেসার্স জাফির অ্যান্ড ব্রাদার্স, মা-বাবা কনস্ট্রাকশন এবং ওএসএল। এর মধ্যে একাধিক কাজ করেছে অনিক কনসোর্টিয়াম এবং বাবর অ্যাসোসিয়েটস।

পরিদর্শন কমিটির প্রতিবেদন বলছে, শুধু ব্রাইট ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন ২২ লাখ টাকার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করেছে। বাকিরা কেউই কাজ সম্পন্ন করেনি।

জানা যায়, মুগদা হাসপাতালের ওই কাজগুলো ছিল বিভিন্ন অকেজো সরঞ্জাম মেরামত এবং সংস্কার। মেরামত কাজের মধ্যে ছিল হাসপাতাল কম্পাউন্ডে নিরাপত্তার জন্য অকেজো/নষ্ট সিকিউরিটি লাইট, গার্ডেন লাইট, ভবনের চতুর্থতলায় অবস্থিত ফ্লাডলাইট মেরামত বা পরিবর্তনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ। এছাড়া হাসপাতালের পাম্প মটরের অকেজো নষ্ট যন্ত্রাংশ মেরামত বা পরিবর্তনসহ আনুষঙ্গিক কাজও এর আওতাধীন ছিল। আরেকটি কাজ ছিল হাসপাতালের রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতালে স্থাপিত ২০০ কেভিএ একটি, ২২৫ কেভিএ দুটি এবং ২৫০ কেভিএ একটি অকেজো বা নষ্ট ডিজেল জেনারেটর সেট মেরামত কিংবা সার্ভিসিংসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ। এ ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন কার্যাদেশে কনফারেন্স রুমে অকেজো বা নষ্ট বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ফিটিংস ফিকচার মেরামত কিংবা পরিবর্তন; হাসপাতালের পঞ্চমতলার পশ্চিম পাশে স্থাপিত ওয়ার্ডগুলোর অকেজো বা নষ্ট বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ফিটিংস ফিকচার মেরামত কিংবা পরিবর্তন; মেডিকেল কলেজের নবমতলার পূর্ব পাশে স্থাপিত ওয়ার্ডগুলোর অকেজো বা নষ্ট বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ফিটিংস ফিকচার মেরামত কিংবা পরিবর্তন; নিয়ন সাইন বোর্ডে অকেজো বা নষ্ট লাইট পাওয়ার সাপ্লাই মেরামত এবং ৫০০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি জেনারেটর সেটের মেরামত কিংবা সার্ভিসিংসহ বিভিন্ন সংস্কার এবং উন্নয়ন কাজ।

তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে এসব কাজ না করেই বিল তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মানিলন্ডারিং

পবিত্র কুমারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হল মানিলন্ডারিং। দেশের বাহিরে তার প্রচুর অবৈধ সম্পদ রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র কুমার দাস দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নামে বেনামে বিনিয়োগের পাশাপাশি হুন্ডির মাধ্যমে পাশের দেশ ভারতে পাচার করেছেন।

এক বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারতের নিউমার্কেট এলাকায় নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস একটি বিলাসবহুল বাড়ি নির্মান করেছেন। এই ভবন নির্মাণের সমস্ত টাকা তিনি হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করেছেন। 

এখানেই শেষ নয়, নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে 

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাসের বাড়ি নড়াইল হলেও ঢাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন একাধিক বাড়ি ও ফ্লাট।

বিশেষ অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য মতে,  নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাসের বাবা পান বিক্রেতা হলেও রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মালিবাগ, ধানমণ্ডি এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে তার বিলাসবহুল পাঁচটি ফ্লাট এবং বাড়ী।

এরমধ্যে, রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার আলিশান ফ্লাট তার সারাজীবনের অর্জিত আয়ের চেয়েও বেশি মূল্যের। সপ্তক আবাসন কোম্পানির ফ্ল্যাটটির মূল্য নূন্যতম ৩ কোটি টাকা। 

বর্তমানে ঢাকা উদ্যানের পাশে তার ছয়তলা ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত বেগে এগিয়ে চলছে। 

নারী কেলেংকারী

পবিত্র কুমার দাসের বিরুদ্ধে একাধিকবার নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল যা এফটি টীমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে একাধিকবার এসব নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ মিটমাট করতে হয়েছে। এটি এখন অধিদপ্তরে ওপেন সিক্রেট।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অন্তরা সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এনিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল।

এখানেই শেষ নয়, পবিত্র কুমার দাস এর আগে বরিশালে গণপূর্ত বিভাগের অফিস সহকারী সেজুতি বিশ্বাসের সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন।

এক গোপন অনুসন্ধানে জানা গেছে, পবিত্র কুমার দাস প্রায়ই গুলশান বনানীর একাধিক স্পা ও ম্যাসেজ পার্লারে যেয়ে থাকেন। এবং বিভিন্ন বারে তিনি প্রায়ই মদপান করেন।

পবিত্র কুমার দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে তা অনুসন্ধানে আলোর মুখ দেখছে না। বিভাগীয় তদন্তও থেমে আছে।

শুধু তাই নয় গণমাধ্যমকে ম্যানেজ করার জন্যও রয়েছে তার বিশ্বস্ত লোক, যিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরেই কর্মরত।

পবিত্রর রয়েছে একটি শক্ত সিন্ডিকেট। যার মাধ্যমে বদলি বানিজ্য করে বাগিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

এই প্রসঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, তার কিছুই হবে না। সে আশির্বাদপ্রাপ্ত।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তারই ই-এম-৬ শাখার অধীনে উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের দিয়ে নির্দিষ্ট হারে পারসেন্টেজ ছাড়া তিনি কোন কাজ করেন না। এ অভিযোগ একাধিক নাম প্রকাশ না করা ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের। দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর যাবৎ একই বিভাগে থাকার কারণে তিনি পুরো ই-এম- ৬ শাখাটিকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

উপরোক্ত বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্রকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কল রিসিভ করেননি।

এই ব্যাপারে তার বক্তব্যের জন্য অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মূলত: তিনি অফিসে খুব কম সময় থাকেন। যখনই অফিসে যাওয়া হয় তখনই বলেন স্যার মন্ত্রণালয়ে আছে। পবিত্র কুমার দাস গণমাধ্যমের ফোন এড়িয়ে চলেন।

তিনি কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গান যা এই সরকারী চাকুরীজীবির ধৃষ্টাতা দেখে সবাই হতবাক। তিনি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক হওয়ার কারনে আলাদা সুবিধা ভোগ করতে চান।

দুর্নীতিবাজদের রুখতে হলে প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘোষিত কর্মসূচির বাস্তবায়ন করতে হবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা