September 17, 2024, 12:54 am


আবু তাহের বাপ্পা

Published:
2024-09-04 14:01:25 BdST

সাব-রেজিস্ট্রার মাসুম আব্দুল্লাহ অপ্রতিরোধ্য!


সাব-রেজিস্ট্রার মাসুম আব্দুল্লাহর দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছিল না। তিনি ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। অপকর্মের রেশ কোন ভাবেই টানা যাচ্ছে না। অনেকটা প্রকাশ্যেই তিনি লাগামহীনভাবে ঘুষ লেনদেন করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাব রেজিস্ট্রার মাসুম আব্দুল্লাহর অবৈধ সম্পদ অর্জন আর সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করে নিজে বিপুল পরিমান বিত্ত বৈভবের মালিক বনে যাওয়াসহ স্ত্রী, আত্মীয়, বন্ধুদের নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা জমা করার বিষয়ে তদন্ত চেয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেন একজন ভূক্তভূগি।
কিন্তু আওয়ামীলীগের দলীয় লোক ও প্রভাব পরিচয় ব্যবহার করে সে আবেদনের পরবর্তী কার্যক্রম আটকে দেন মাসুম আব্দুল্লাহ এমন অভিযোগ রয়েছে তার নামে। সূত্র মতে, সাবেক আইনমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে থাকা আনিসুল হকের আস্থাভাজন ও কাছের মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে সব অপকর্ম করে চলাই ছিলো মাসুম আব্দুল্লাহর বেপরোয়া হয়ে ওঠার পেছনের শক্তি। সূত্র বলছে, মন্ত্রীকে সরাসরি ঘুষ দিয়েই মাসুম আব্দুল্লাহ কাঙ্খিত জায়গায় পোর্স্টিং নিয়ে চালিয়েছেন ঘুষ বাণিজ্য। আর সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজে হয়ে উঠেন অবৈধ বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক।
জানা যায, মাসুম আব্দুলাহ গত ২০২৩ সালে সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ সাব রেজিষ্টার ছিলেন । এই দুই স্থানে ভূমি অফিসের খাজনা খারিজ ছাড়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৩৫শ জমির দলিল সহকারী সম্পাদন করেছেন। এর মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি করে তিনি কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার বেশী ঘুষ গ্রহণ করে নিজে লাভবান হয়েছেন। সূত্র বলছে এ কাজের মাধ্যমে তিনি সরকারের কমপক্ষে কমপক্ষে ৪০ (চল্লিশ) কোটি রাজস্ব ক্ষতি সাধন করেছেন। সুত্র বলছে,মাসুম আব্দুল্লাহ এখন নীলফামারী জেলার সদর সাব রেজিষ্টার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখানেও তিনি প্রতিনিয়ত একইভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকিসহ সব অপকর্ম করে চলেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা এসব কাজ করতে তিনি বরাবরের মতো জেলা সাব-রেজিস্ট্রারের নিরঙ্কুশ সহযোগিতা পেয়ে যাচ্ছেন। সূত্রমতে, মাসুম আব্দুল্লাহ ঢাকার উত্তরায় ২টি ফ্লাট ক্রয় করেছেন, যার আনুমানিক মূল্য ৩ (তিন) কোটি টাকা। রংপুর শহরের একটি বাড়ী ক্রয় করেছেন ২ (দুই) কোটি টাকা। নিজ গ্রামে জমি ক্রয় করেছেন বিঘায় বিঘায় প্রতিনিয়তই জমি ক্রয় করছেন। ইতোমধ্যে কয়েক কোটি টাকার জমি কিনেছেন তিনি ও তার পরিবার। নিজে ও পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনেছেন দামি গাড়ী, স্ত্রীর বিভিন্ন ব্যাংকে এফ ডি আর আছে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা।
এসব বিষয়ে মাসুম আব্দুল্লাহর সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা