শাহীন আবদুল বারী
Published:2025-02-11 10:45:56 BdST
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবী ছাত্র-জনতার
নির্যাতন-নিপীড়ন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জুলুমের দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে আখ্যায়িত করেছেন ছাত্র-জনতা। তাই আওয়ামী লীগ নামক দলটিকে রাজনীতিতে কোনো ভাবেই দেখতে চায় না ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং গণহত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৬ বছরের একতরফা স্বৈরাচারী শাসনামলে আওয়ামী লীগ গুম, হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, অর্থ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তায় বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। দ্রব্যমূল্যের চড়াও দাম ঠেকাতে চেষ্টা না করে সিন্ডিকেট সদস্যদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশের মানুষকে সর্বস্বান্ত করে তোলে দলটি। এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অসংখ্য সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। যে কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সাধারণ মানুষ বলছেন, যারা গুন খুনে জড়িত দেশের কথা চিন্তা করে না তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, সম্প্রতি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছেও বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারের উচ্চ পযার্য়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অনেকেই মতামত দেন যে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তাদেরকে চলতি মাস থেকেই রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত। বৈঠক সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের পর এবার নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ। কারণ তারা সর্বমহলে তাদের গ্রহণযোগ্য হারিয়ে ফেলেছে।
ছাত্রলীগের পর এবার নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ:এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর রোজ বুধবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছেন। পুঙ্গোত্ত্ব বরণ করেছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও জনতা। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত রয়েছে। এই অবস্থায় সরকার 'সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ওই আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ছাত্রলীগের মতো একই অভিযোগে চলতি মাসের নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ব্যাপারে শিগগিরই সিধান্ত: আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ‘ঐকমত্য’ তৈরি হয়েছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন এই দলের অগণতান্ত্রিক, একগুয়েমী মনোভাব এবং কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ‘ঐকমত্য’ প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐক্যমত তৈরি হলে সরকারের জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার সহসাই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হোক না কেনো, আমরা এ দেশের জনগণকে ‘রিপ্রেজেন্ট’ করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্খা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। সে জায়গা থেকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও ৪টি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যে কোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয় ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যে কোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তয়নের সঙ্গে যুক্ত, সেক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে। তিনি বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদশের জনগণের চাওয়া প্রতিফলন ঘটাতে সরকার এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে।
আওয়ামী লীগ হলো জুলুমের দল, তাদের কোনো ভাবেই রাজনীতি আর দেখতে চায় না ছাত্রজনতাঃ এই বিষয়ে জানতে চাইলে দেশের সচেতন মহল জানান, আওয়ামী লীগ সরকার থাকা অবস্থায় উন্নয়নের চেয়ে লুটপাট করেছে বেশি। দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরন করেছে। ক্ষমতার বাহুবলে বিএনপি জামায়াত সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলোকে কোনঠাসা করে রাখা হয়ে ছিল। তাদের হাতিয়ার ছিল ছাত্রলীগ, যুবলীগ যারা সন্ত্রাসী হয়ে উঠে। সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা মোটেই ছিল না। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকে। যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাছাড়া এই দেশে ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ফ্যাস্টিস হয়ে উঠে গুম খুন এমন কি করেনি তারা। নানা কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত এবং সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগতম জাবানে দেশের জনগণ।
নুরুল ইসলাম নামের এক ইসলামী তরুণ বক্তা ও ছাত্রজনতা নেতৃত্বে থাকা পলাশ রায়হান জানান, আলেম ওলামাদের উপর অন্যায় ভাবে জেল জুলুম নির্যাতন করেছিল ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগ। তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের উপর বর্বর হত্যাকাণ্ড সহ নির্যাতন চালানো হয় সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ এর নেতৃত্বে। মাওলানা গৃহবন্দী করে রাখা হয়। সেই শোকে তিনি মারা যান। ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমেই বাবার হত্যার দায়ে কর্নেল ফারুক, কর্ণের রশিদ, মেজর বযলুল হুদা সহ কয়েক জন সেনাবাহিনীকে ফাসি দেয়। যা ৫ আগস্টের পর তাদের আত্নীয় স্বজন সহ দেশবাসীর মধ্যে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। এরপর ধীরে ধীরে বিএনপি জামায়াতেরকে যুদ্ধ অপরাধী বানিয়ে ফাসিতে জুলিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী আমির গোলাম আযমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি জেল হাজতে মারা যান। একইভাবে মারা যান আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী। ফাসিতে ঝুলানো হয় মাওলানা মতিউর রহমান সহ জামায়াতের বর্ষিয়ান নেতাদের। যা ভেতরে ভেতরে বড়ো দুটো দলের মধ্যে ভীষণ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আয়না ঘরের নামে শত শত নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেল দিয়ে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়ে ছিল। বিএনপি জামায়াত এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলো কোথাও মিটিং মিছিল করতে পারেনি বিগত ১৬ বছর। কোন ধর্মীয় সভা করতে হলেও প্রশাসনের কাছ থেকে পাশ নিতে হয়েছে। গুম, হত্যা করে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। তাদের স্ত্রী-সন্তানদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠলেও মায়াত্মবোধ হয়নি আওয়ামী বড়জুয়া সরকারের।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ হলো জুলুমের দল। তারা সর্বশেষ ছাত্র-জনতা আন্দলোনের সময় প্রশাসনকে লেলিয়ে হাজার হাজার মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরেছে। আবু সাঈদ ওয়াসীম সহ শত শত তরুণ যুবককে গুলি করে হত্যার দায়ে এদের নিষিদ্ধ ও ফাঁসিতে দেওয়া উচিত। সরকার যদি এটা করতে পারে তাহলে জনগণ তাদের শুভেচ্ছা দিবেন। বিগত ১৬ বছর সর্বস্তরের জনগণ আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি। কিন্তু এখন সময় এসেছে এই দল টিকে চিরতরে বিতারিত করার। দেশের মানুষ ভাত পায়না, আর তারা চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি তৈরি করে রাস্তায় রাস্তায় প্রদর্শন করেছিল।
ছাত্র-জনতা বলেন, হাজার হাজার তুরুণ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তারপর পরও থামেনি তাদের নানামুখী ষড়যন্ত্র। বিদেশের মাটিতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আক্রোশ মূলক বক্তব্য মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এখন দেশের মানুষের ভেতর ভয় ঢুকে গেছে এই দলটি ক্ষমতায় আসলে বা তাদের দলীয় কর্মকাণ্ড করতে দিলে ক্রমেই দেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে। তাই দেশের বড়ো একটি অংশ চায়না আওয়ামী লীগ থাকুক। এজন্য এদল টি নিষিদ্ধ হলেই দেশের মানুষ শান্তি পাবে।
এসব বিষয়ে তিতুমীর কলেজের ছাত্র ইমরান জানান, আমি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত হয়েছি। কাছ থেকে মানুষের মৃত্যু দেখেছি। যারা এই গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছে এবং যেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর কোন দল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এরকম হত্যাকান্ড ঘটাতে না পারে। অবিলম্বেই এই দলকে নিষিদ্ধ দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফুল ইসলাম জানান, গণহত্যার দায়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। একই সাথে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাহলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে (সাকা চৌধুরী) ফাসি দেয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবব্দি করে রাখা হয় ছিল। অসংখ্য ছাত্রনেতারা আজ গুম খুনের শিকার । আওয়ামী লীগ কোনো ভাবেই রাজনীতি আর করতে পারে না। এজন্য এদের আর দেশের মানুষ দেখতেও চায় না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে আমরা সেই কলম ভেঙে দেব। যে মিডিয়া ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়াবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবো। আপনারা যদি তরুণ প্রজন্মের কথা বুঝতে ব্যর্থ হন তাহলে আওয়ামী লীগের মতোই আপনাদের পরিণতি হবে।
দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সম্প্রতি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের সব নাগরিকের অবিলম্বে সম্পূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, যদি কেউ দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য উসকানিমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। অপরাধী তো অপরাধীই।
এদিকে ইন্ডিয়ায় পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে অডিও কল বা ভিডিও কলে নিজের ভুল স্বিকার না করে উস্কানিমূলক এবং প্রতি হিংসামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এর জের ধরে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়ি টি ছাত্র-জনতা ভেঙ্গে ঘুরিয়ে দিয়েছে। কথা উঠেছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মঈনুল রোডের বাড়ি টি যখন তছনছ করে দেয়া হয়েছিল তখন খালেদা জিয়া হাউমাউ করে কান্না করে ছিলেন। আর শেখ হাসিনা সেদিন ছিলেন বেশ হাসিখুশি। আওয়ামী লীগ এর মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতে, তারা এখন বিপদে আছেন। তাদেরকে দল ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও কোনঠাসা করে রাখা হয়ে ছিল। হাইব্রিড নেতা যত সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। নেত্রীর সাথে হাইব্রিড নেতারাও গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের মতে, প্রতিটি সেক্টরের রন্ধে রন্ধে অনিয়ম দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে। যা শুধু আওয়ামী লীগ এর মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক নেতা এবং হাইব্রিড নেতারা ভোগ করেছেন।
আওয়ামী লীগ এর ভোট নিয়ে একজন ইসলামি বিশ্লেষণক বলেন, যখন একজনের ভোট আরেক জনে দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে বাবার পরিচয় ছিল একাধিক বাবা, একাধিক স্বামি, একাধিক বউ, একাধিক ছেলে-মেয়ে। যা ইসলামি শরিয়া মোতাবেক হারাম ও নাযায়েজ। যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের ভোটাধিকার হরন করেছে, তাদেরকে নিষিদ্ধ করা জরুরি। অন্তবর্তী সরকার এই বিষয় টি আমলে নেবে বলে তিনি দাবি করেন।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.