নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী
Published:2025-02-11 19:19:51 BdST
মরনের পরও মরন
মানুষের মনোরঞ্জন দিয়ে জীবন জীবিকা। সমাজে অচ্ছুৎ হয়ে বেচেঁ থাকা। মরার পর মরদেহ নিতে রাজি হয় না পরিবার। একটা সময় যৌনপল্লীর এইসব নারীদের জানাযাও হতো না। ছিল না দাফন কাফনের কোন ব্যবস্থা। পৃথিবী এখব অনেক উন্নত হয়েছে। তবে আমরা কতটুকু সভ্য হয়েছি?
সম্প্রতি রাজবাড়ী জেলা কারাগারে আলেয়া বেগম (৬০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তবে আলেয়ার মরদেহ নিতে রাজি হয় নি তার পরিবার।
আলেয়া বেগমের জন্মস্থান যশোর জেলায়। সে রাজবাড়ী দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা ছিলেন।
জানা যায়, আলেয়া বেগম একটি মাদক মামলায় চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে হাজতি হিসেবে জেলা কারাগারে ছিলেন। রবিবার রাত সোয়া আটটার দিকে হঠাৎ তার বুকে ব্যথা শুরু হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
রাজবাড়ী জেল সুপার মো. এনামুল কবির বলেন, ‘রবিবার রাতে অসুস্থ হয়ে আলেয়া নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সে যৌনপল্লীর বাসিন্দা ছিলেন। আমরা যশোর জেলায় তার পরিবারের খোঁজ পেয়েছি। কিন্তু পরিবার থেকে আলেয়ার মরদেহ নিতে রাজি হয়নি। এই মরদেহের প্রতি তাদের কোন দায় দাবি নেই বলে পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এখন আলেয়ার কথিত স্বামী পরিচয়ে এক ব্যক্তি মরদেহ নিতে রাজি হয়েছে। আমরা দৌলতদিয়ার স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। থানায়ও কথা বলেছি। সকলে সহযোগিতা করলে সামাজিকভাবে এই মরদেহ দাফন করা সম্ভব হবে। মরদেহ দাফন করতে সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.