March 26, 2025, 4:30 am


অনলাইন ডেস্ক

Published:
2025-03-25 12:43:19 BdST

অনেকটাই শঙ্কামুক্ত তামিম হাঁটারও চেষ্টা 


সোমবার সারাটাদিন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় কেটেছে ক্রিকেটপ্রেমী সকল মানুষের। পুরো ক্রিকেট বিশ্ব যেন থমকে গিয়েছিলো তামিম ইকবালের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের খবরে। কিছুক্ষণের জন্য তার হৃদযন্ত্র বন্ধই ছিল বলতে গেলে। এমন পরিস্থিতি থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরার ঘটনা খুবই কম। হাজারে একজনও পারে কি না সন্দেহ।

তামিম ইকবাল সে শঙ্কা গতকালই কাটিয়ে উঠেছেন। দ্রুত চিকিৎসা, চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্যা আর দেশবাসির দোয়ার বদৌলতে বিকাল নাগাদ তামিমের শঙ্কা কাটতে শুরু করে। হার্টে যে ব্লক ধরা পড়েছিল, সেখানে রিং বসানো হয়েছিলো। গতকাল দুপুরের পরই জ্ঞান ফেরে তার। মায়ের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন।

যদিও বিকালের দিকে সাভারের কেপিজে হাসপাতালের ডাক্তাররা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, তামিম ইকবাল পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। রাতের দিকে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তখন জানা গেছে, তামিমের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে।

সোমবার সারাদিন কেপিজে হাসপাতালের সামনে ভিড়ও ছিল অনেক বেশি। বিসিবি কর্মকর্তা, তামিমের পরিবার, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার এবং তার ভক্ত-সমর্থককুল  সারাদিন ছিলো কেপিজে হাসপাতালে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ছাড়া অন্যরা চলে যেতে থাকেন।

আজ সকালে হাসপাতালে ভিড় নেই। সেখানে তামিমের পরিবারের সদস্যরা ছাড়া আর কেউ নেই। আজ কী অবস্থা তামিমের? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকালের চেয়ে অনেকটাই উন্নতির দিতে তার অবস্থা। যে শঙ্কার মধ্যে ছিলেন, সেটাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।

তামিম ইকবালের সঙ্গে কেপিজে হাসপাতালে অবস্থান করা তার বন্ধু এবং সাংবাদিক মিনহাজউদ্দিন খান জাগোনিউজকে জানিয়েছেন, ‘তামিম আগের চেয়ে অনেকটা ভালো বোধ করছেন। রাতে ভালো ঘুমও হয়েছে। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে তার। একজনের সাহায্য নিয়ে রুমের মধ্যে হাঁটাচলাও করেছেন।’

তামিমের চাচা, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেছেন, ‘তামিমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রিং পরানোর কারণে হার্টে রক্তের চলাচলও অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। তার অবস্থা দেখে কেপিজে হাসপাতালের ডাক্তার যদি অনুমতি দেয়, তাহলে আজই আমরা তাকে রিলিজ করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাই। এখানে এনে পরীক্ষা করতে চাই তার হার্টের ড্যামেজ কতটা হয়েছে। এর চেয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হবে কি না।’

গতকাল বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল মোহামেডানের। অধিনায়ক হিসেবে টস করতেও নামেন তিনি। এরপরই অস্বস্তি অনুভব হতে থাকে তার। বুকে ব্যথা হয়। স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চলেও আসেন মাঠে।

কিন্তু এরপরই অবস্থা খারাপ হতে থাকলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়া হয় কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে। হেলিকপ্টারও রেডি করে রাখা হয় তাকে দ্রুত ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনার জন্য। কিন্তু ততক্ষণে তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তাকে আর হেলিকপ্টারে ওঠানোর মত অবস্থা ছিল না। কেপিজে হাসপাতালেই চিকিৎসা করতে হয়।

কেপিজে হাসপাতালেই তার এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্টিং করানো হয়। স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত ব্লক পড়া ধমনীতে রিং পরানো হয়।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.