শাহীন আবদুল বারী
Published:2025-08-04 12:25:24 BdST
আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে সার্থক ওসি সাজ্জাদ রোমান
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে মামলার তদন্ত কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ইউনিটিতে জনবল কম থাকায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অধিক পরিমাণে ডিউটি করতে হচ্ছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর পুলিশ জনগণের কাঙ্খিত সেবা দেয়ার জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ডিএমপির ৫০টি থানায় কর্মরত অফিসার ইনচার্জ সহ সকল পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে এবং জনগণের কাছে ইতিবাচক প্রশংসা কুড়াতে নিরলস ভাবে দিনরাত সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। মাদক বিরোধী অভিযান এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে আলাদা আলাদা টিমও গঠন করা হয়েছে।
ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাজ্জাদ রোমান তার অধীনস্ত অফিসার এবং ফোর্সদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে মিরপুরবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ফিরিয়ে এনেছেন থানার শৃঙ্খলা। ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে আগের মতো হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। কাঙ্খিত সেবা পেতে পুলিশকে টাকাও দিতে হচ্ছে না। অপরাধ কিংবা অনৈতিক কাজের দায়ে কোন পুলিশ অফিসার বা কনস্টেবলকে বরখাস্ত বা ক্লোজ করার মতো কোন ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি বলে জানান মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ রোমান।
স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করতে একটুও পিছপা হননি সাজ্জাদ রোমান। এমনকি বিএনপির ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাদেরকেও গ্রেফতার করতে কোন প্রকার দ্বিধা করেননি সাহসী এই পুলিশ অফিসার।
মিরপুর জোন হচ্ছে, আওয়ামী লীগের ঘাটি। ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদেরকে গ্রেফতার করে চালান দিয়েছেন নির্দ্বিধায়। মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছেন জিরো টলারেন্স। আবাসিক হোটেল, সুপার হোস্টেল ও আবাসিক মেস গুলোতে অভিযান চালিয়ে সামাজিকভাবে সম্মানিত হয়েছেন ওসি রোমান। অসামাজিক কর্মকাণ্ড নির্মূল করতে জড়িতদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। অনেক কাজের সাফল্য অর্জনের পেছনে রয়েছে সাজ্জাদ রোমানের সততা ও সাহস।
তিনি প্রতিটি কাজের আগে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। তার অধিনায়কত্ব মেনে থানার সকল পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিকল্পে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। মিরপুরবাসীর মনেও অল্প সময়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন ওসি সাজ্জাদ রোমান।
৩ আগস্ট ( রবিবার) বিকেল সাড়ে তিনটায় মিরপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ রোমান এর সাথে সামনাসামনি কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এসময় তিনি মিরপুরের আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক অবস্থা সহ সার্বিক বিষয়ে খোলামেলা আলাপ করেন।
সাজ্জাদ রোমান বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ বাহিনীকে। প্রতিটি মুহুর্ত আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে আসছি। আইজিপি মহোদয়ের চৌকস নেতৃত্ব ও বিচক্ষণতা, পুলিশ কমিশনারের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং প্রতিটি জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারের ধৈর্যের সাথে নিরলস পরিশ্রমে ডিএমপির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তিনি বলেন, মিরপুর ঘনবসতি এলাকা। প্রায় বিশ লাখ মানুষ বসবাস করেন মিরপুরে। সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী এবং চাঁদাবাজদের উৎপাতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলো। চাঁদাবাজদের ভয়ে অনেকেই পালিয়ে বেড়াতেন। প্রকাশ্যে ছিনতাই হতো। মাদক ব্যবসায়ীরা যেখানে সেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মাদকদ্রব্য বিক্রি করতো। উপ-পুলিশ কমিশনার মাকসুদুর রহমান স্যারের চৌকস নেতৃত্বে আমার ফোর্সদের নিয়ে শক্ত হাতে দমন করতে সক্ষম হয়েছি।
সাজ্জাদ রোমান আরো জানান, ৫ আগস্টকে ঘিরে যে গুঞ্জন শোনা যায়, সেই লক্ষ্যে থানা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বারেক মোল্লা (৬০ ফিট), মিসকো সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তা ও মিরপুর ১ থেকে ১০ নাম্বার যাওয়ার মধ্যবর্তী জার্মান টেকনিক্যালের সামনের রাস্তায় চেকপোস্ট চলমান রয়েছে। টহল পার্টি ও হোন্ডা মোবাইল সহ থানার বিশেষ এলাকায় বিশেষ টহল এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও আবাসিক হোটেল, সুপার হোস্টেল ও আবাসিক মেসগুলোতে বিশেষ তল্লাশি অব্যাহত আছে।
তিনি এও বলেন, এই পর্যন্ত কোন অনৈতিক কার্যক্রমে একজন পুলিশ সদস্যও বরখাস্ত হয়নি। কারণ প্রতি সপ্তাহে আমি রুলকল নিয়ে ফোর্স/ অফিসারদের সুবিধা-অসুবিধা শুনি।
ভুক্তভোগীদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওসি মিরপুর বলেন, প্রতিদিন ৯৯৯ এ ৪০/৫০ টি কল রিসিভ করতে হয়। থানার মোবাইল টিম গুলো ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। যেসব বিষয়ে মামলার দরকার হয়, সেসব বিষয়ে মামলা নেয়া হয়। আর যেগুলো জিডি করা হয় তা সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কোন রাজনৈতিক দল প্রোগ্রাম করার জন্য নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিলে তাদেরকে পূর্ণাঙ্গভাবে সহযোগিতা করা হয়। মাদক নির্মূলে মাসে ৭ দিন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি মিরপুর মডেল থানার ২ নাম্বার বিট এলাকার ডুইপ আবাসিক এলাকায় নাগরিকদের নিয়ে এন্টি ক্রাইম সভার আয়োজন করা হয়। জনগণের সাথে পুলিশের মিথস্ক্রিয়া খুবই দরকার। জনগণের নিকট পুলিশের সেবা বিষয় অবহিত করা প্রয়োজন। পুলিশ কি কি পারে না, সেই বিষয়েও অবহিত করা হয়েছে নাগরিকদের।
জুলাই-আগস্টে খোয়া যাওয়া ৩টি পিস্তল, ১টি শর্টগান, ২৯৫ রাউন্ড গুলি এবং পরের ধাপে ১৯৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি সাজ্জাদ রোমান।
এই প্রতিবেদকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওসি সাজ্জাদ রোমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডে যুবলীগ নেতা এসএম জাহিদ ও কাউন্সিলর জনির অন্যতম ১৩ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর-৯, তারিখ ১৫/০৮/২৪, ধারা-৩০২/৩৪। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মিতুল ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, জাহিদ ও জনির নির্দেশে এবং শেখ হাসিনার বক্তব্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে তারা মিরপুরে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এছাড়াও ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রমাণ সাপেক্ষে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলাও নেয়া হয়েছে। কল্যাণপুর বস্তির চাঁদাবাজ তরিকুল, উজ্জল ও মিরপুর ১ এর ইটা বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ফেসবুকে ভাইরাল শেওড়াপাড়া ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই থানার ৫০টি মামলা হলে ২০টিই মাদকের মামলা বলে জানান ওসি সাজ্জাদ রোমান।
জানতে চাওয়া হলে ওসি সাজ্জাদ রোমান বলেন, অল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ১২/১৪ ঘন্টা করে প্রতিজন পুলিশ সদস্য ডিউটি করেন। তবে প্রতিজন পুলিশ সদস্য আন্তরিক। মিরপুর মডেল থানায় ৩৮ জন সাব ইন্সপেক্টর, ৩২ জন এএসআই, ৪০ জন ফোর্স এবং ১২ জন মহিলা পুলিশ রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মিরপুর মডেল থানার মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, মিছিল ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক দুই কর্মী শহীদুল ও টুটুলকে আটক করেছে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা। আটকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মিরপুরের ২ নাম্বার ও ১০ নাম্বারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গত ৯ জুলাই শীর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মোঃ পারভেজকে ৯৯/২/৩ (আলী মিয়া টেক) পীরেরবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক ও চাঁদাবাজির মামলা সহ
মিরপুর মডেল থানায় ৩ টি মাদক ও চাঁদাবাজির মামলা আছে।
গত ৮ জুলাই অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে আকস্মিকভাবে ঢাকা প্যালেস, হোটেল সিঙ্গাপুর, হোটেল প্রাইম ইন এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে হোটেল ঢাকা প্যালেসে অনৈতিককাজে লিপ্ত থাকায় ২ জন মেয়ে ও ২ জন ছেলেকে এবং উক্ত কাজে সহায়তা করার জন্য ৩ জন স্টাফকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া এবং চুরির ঘটনায় মোবাইল ফোন মালিকদের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এএসআই কামাল হোসেন ১৫ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ রোমন উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেন। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনগুলো দ্রুততম সময়ে ফিরে পেয়ে আনন্দিত হয়ে মোবাইল ফোন মালিকরা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ভুক্তভোগীরা মিরপুর মডেল থানা পুলিশের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
গত ৬ জুলাই মিরপুরে আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদল সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ রাশেদ ও মিরপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পিয়ারু ইসলাম রমজান এবং তার চাচাতো ভাই আলামিনের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং মিলে ১৪ বছর বয়সী কিশোর মোঃ জুবায়েরকে তুলে নিয়ে যায় এবং পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। ৭ জুলাই মনিপুরে চাঁদাবাজির ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেন তাবিদ, মোঃ মিন্টু মিয়া, মোঃ রতন মিয়া ও মোঃ ইসমাইল হোসেন জিম্মি করে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা বিভিন্ন উপায়ে তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করে।
গত ১ আগস্ট কল্যানপুর নতুন বাজার, মিজান টাওয়ার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত চাঁদাবাজ মোঃ উজ্জল রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আলী রাজ নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা চুরির দায়ে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশ বলছে, আলী রাজ মাদক ব্যবসায়ী। এভাবে প্রতিনিয়ত মিরপুর মডেল থানা পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতারে অব্যাহত রয়েছে।
মোঃ সাজ্জাদ রোমান কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আইজিপি ব্যাচ (২০২৫) পুরুস্কারপ্রাপ্ত হয়েছেন। ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানায় তদন্ত অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অফিসার ইনচার্জ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হোন। ৫ আগস্টের আগে পিবিআইতে কর্মরত ছিলেন।
২০০৫ ব্যাচে সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে নরসিংদীর শিবপুর থানা থেকে কর্মময় জীবন শুরু করেন। জামালপুর জেলা সদরে নোয়াপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা-মৃত আমির খসড়ু। তিনি একজন সফল ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। মাতা-সাজেদা বেগম। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সাজ্জাদ রোমান বড়। বিবাহিত জীবনে স্ত্রী জান্নাত ও ৫ বছরের সন্তান সিয়াদ বিন সাজ্জাদকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে জীবন যাপন করছেন মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ রোমান।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.