August 13, 2025, 3:58 pm


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2025-08-13 09:06:38 BdST

মাগুরায় সোনালী ব্যাংক থেকে এক গ্রাহকের ৮৭ লাখ টাকা গায়েব!


সোনালী ব্যাংক লিঃ পিএলসি'র মাগুরা শাখা থেকে এক গ্রাহকের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে জমাকৃত ৮৭ লাখ টাকা কে বা কারা উত্তোলন করে নিয়েছে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহক।

অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, উষা এস.সি লিঃ এর মালিক ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোঃ টিটুল নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংকের মাগুরা সদর শাখায় একটি চলতি হিসাব নম্বর রয়েছে। যার হিসাব নম্বর: ২৪১৪২০০০১৮৩৫২। তিনি নিজেই অধিকাংশ সময় ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা করেন।

এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, 'সম্প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমার উক্ত হিসাব নম্বরে ৮৭ লাখ টাকা জমা হয়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উক্ত হিসাবের বিপরীতে ব্যাংক থেকে কোন চেক গ্রহণ করিনি। দীর্ঘদিন পর আমি জানতে পারি যে, কে বা কারা আমার চলতি হিসাব নম্বর থেকে সমুদয় (৮৭ লাখ) টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ অন্যান্য কাগজপত্র আমার কাছে আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার ধারণা ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে কোন প্রতারকচক্র আমার কোম্পানীর ব্যাংক অ্যকাউন্ট থেকে মোট ৮৭ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে। সেখানে যে মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও আমার নয়। একাউন্টে যে নাম্বার দেয়া আছে এরকম কোন নাম্বার আমি কোনদিন ব্যবহার করি নাই। হিসাব খোলার সময় আমি যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলাম সেটা হলো: ০১৬৮৫-৫৫ ৭৬ ৫৬।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কোন গ্রাহক ৫০ হাজার টাকার চেক দিলেও একাউন্টের মালিককে ফোন করে জানাতে হয় এবং তার অনুমতি সাপেক্ষে চেক হোল্ডারকে টাকা প্রদান করতে হয়। কিন্তু এখানে দেখা গেছে যে, ১০ লাখ, ২০ লাখ পরিমাণ টাকা এক একবারে তুলে নেওয়া হয়েছে কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে কোন প্রকার ফোন করেননি বা কথাও বলেননি। মোবাইল ফোনে কোন ম্যাসেজও দেওয়া হয়নি।

সোনালী ব্যাংকের মত একটি স্বনামধন্য ব্যাংকে কিভাবে এমন একটি ঘটনা ঘটলো সেটা কারো বোধগম্য হচ্ছে না।

এই বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের মাগুরা শাখার ম্যানেজারের সাথে কথা বললে তিনি জানান যে, এই ঘটনাটি আগে যিনি ম্যানেজার ছিলেন তার আমলে সংঘটিত হয়েছে তাই এর দায়ভার সেই ম্যানেজারের ওপরই বর্তায়।

গ্রাহকের লিখিত অভিযোগ পেয়েও কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওই গ্রাহককে বারবার ব্যাংকে আসার অনুরোধ জানিয়েছে কিন্তু তিনি আসেন নি।

অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মোঃ টিটুল জানান, আমি এই ব্যাংকে হিসাব খোলার পর আমি কোন চেক বই নেইনি। অথচ আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংকের চেক বই ইস্যু করা হয়েছে এবং ধাপে ধাপে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোনও করেনি, ম্যাসেজও দেয়নি।

আমি এই প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে ফৌজদারী আইনে মামলা করার জন্য সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। তারা কোন আইনগত পদক্ষেপ না নিলে আমি নিজেই বাদী হয়ে ব্যাংকের নামে আদালতে মামলা দায়ের করবো।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.