November 20, 2025, 2:12 am


শাহীন আবদুল বারী

Published:
2025-11-20 00:18:17 BdST

তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিনজিয়ার বিএনপির নেতৃত্বে তারেক


মুক্তিযুদ্ধ, সার্বভৌমত্ব, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমৃত্যু ভূমিকা রেখেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তাঁর গড়া দল বিএনপির নেতৃত্বে এখন তারেক রহমান।

বাবার মতোই ষড়যন্ত্র এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে বন্ধুর পথের যাত্রী তিনি। নির্যাতন-নির্বাসন-সংগ্রামে এরই মধ্যে ৫৯ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। আজ ২০ নভেম্বর ৬০তম জন্মদিন তারেক রহমানের। শুভেচ্ছা, আগামীর নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আজ কেক কাটা, পোষ্টার, ব্যানার-ফেষ্টুন লাগানো ও আলোচনা সভাসহ কোন ধরণের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান বা উৎসব পালন করা যাবে না।ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপির সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদেরকে উল্লিখিত দলীয় নির্দেশনাটি লঙ্ঘন না করার জন্য জোর আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ।

তারেক রহমান কার্যত এই মুহুর্তে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা। তিনি নির্বাসনে থাকলেও তাঁর একক নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে বিএনপি। তিনি দলের জন্য যে শ্রম দিয়ে চলেছেন সেটি অভাবনীয়। তারেক রহমান চান, বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আনতে। তাকে সৎভাবে যারা সহায়তা করছেন তারাই হবেন সামনের দিনগুলোতে তারেক রহমানের সবচেয়ে কাছের।

অতীতে যারা মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী সিপাহসালার তারেক রহমানের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন তাদের সঙ্ঘবদ্ধ প্রচেষ্টা আর সফল হবে না। আগামী দিনে তার "ডিজায়্যার" বলে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তারেক রহমান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

জাতির তরুণ প্রজন্মের অহংকার, জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী তারেক রহমান আজকের সবচেয়ে প্রিয় এই দিনটি উৎসর্গ করেছেন দল ও দেশের মানুষের জন্য। রাজনৈতিক ইতিহাসে তারেক রহমান এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুধু মাত্র দেশ ও জাতির জন্য। তারেক রহমানের এই উদার সিদ্ধান্তকে বিএনপির নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারেক রহমানের জন্মদিনে জাতীয়তাবাদী শক্তির পূর্ণজাগরনের দিন। ভালোবাসার উচ্ছ্বাস প্রকাশের দিন। তারেক রহমানের জন্মদিন হোক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।

তারেক রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে যতটা প্রপাগাণ্ডা হয়েছে তা আর কোনও রাজনীতিবিদকে নিয়ে হয়নি। নব্বই দশকের শেষের দিকে তারেক রহমান রাজনীতিতে আসার পর থেকেই বিএনপির প্রতি মানুষের যে একটা আলাদা আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিলো, সেই আকর্ষনটা শেষ করে দেবার জন্য এমন কোনো চেষ্টা নেই যা করা হয়নি।

বেগম জিয়াকে দেশে থেকে রাজনীতি করতে দিলেও তারেক রহমানকে ১ দিনের জন্য রাজনীতি করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। বলতে গেলে তাকে সারাজীবনের জন্য রাজনীতি থেকে দূরে রাখার সব আয়োজন করা হয়েছিলো।

কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তারেক রহমান সবকিছু জয় করে এগিয়ে যাচ্ছেন। আজকের দিনে এই পর্যায়ে আসা ওনার জন্য সহজ কিছু ছিলো না। শারীরিক কঠিন অবস্থা নিয়ে লন্ডনে গিয়ে অনেক বছর এই মানুষটি স্বাভাবিক জীবন-যাপন পর্যন্ত করতে পারেননি। রাজনৈতিক জীবনে আসা তো দূরের কথা।

তারপর আস্তে আস্তে, অল্প অল্প করে তারেক রহমান পুরো বাংলাদেশের একদম প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন৷ কত হতাশা, কত আঘাত, কত নিরাশায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন তিনি।

এখন তো তারেক রহমান বিএনপি থেকে পুরো দেশের নেতা হয়ে গিয়েছেন। বিরোধী মতের লোকজনও তাঁর রাজনীতির প্রশংসা করছে। সবার মুখে এক কথা, এই তারেক রহমান, সেই তারেক রহমান না। এই তারেক রহমান অনেক পরিনত। তারেক রহমান বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করবে, যদি তাঁর হাতকে শক্ত করতে পারে বিএনপি।

গত ১৭ বছর তারেক রহমানের কোন মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার বা নিউজ আসেনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে লন্ডনে নিজেকে বন্দী করে রেখেছিলেন। লন্ডনের কারো সাথেই দেখা সাক্ষাৎ দিতেন না। কিন্তু দেশের বিএনপির প্রতিটি ইউনিটের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। তার কথা দেশের মিডিয়ায় প্রচার করা হতো না। আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার কারনে, তার বক্তব্য কোন বিএনপির কর্মী শেয়ার করলেও বিটিসিএল আইডি ব্লক করে দিতো।

ছোট্ট একটা রুমের একটা কর্নারে বসেই ১৭ বছর দল চালিয়েছেন। এত এত চেষ্টা করেও আওয়ামী লীগ বিএনপিতে সামান্য ভাঙ্গন ধরাতে পারেনি। যেদিন হাসিনার পলায়নে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে সেদিন থেকে তারেক জিয়াও মুক্ত বাতাসে বের হয়েছেন।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ১৭ বছরের শাসনামলে যত প্রতিবাদ হয়েছে তাতে দল হিসেবে তারেক জিয়ার বিএনপিই নেতৃত্ব দিয়েছে। হরতাল, অবরোধ, অন্দোলন, ঢাকা চলো কর্মসূচি, ভারত সরকার, আওয়ামী লীগ, সেনাবাহিনী সব শক্তির বিপরীতে তারেক জিয়ার নেতৃত্বেই টিকে ছিলো। এই নেতৃত্বগুন বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ শক্তিশালী বাংলাদেশ বানাবে ইনশাআল্লাহ।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.