March 19, 2024, 3:18 pm


সামি

Published:
2019-09-29 03:11:00 BdST

চট্রগ্রামে মেয়রের নাম ভাঙিয়ে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছে লেদু হাজী


বিশেষ প্রতিনিধি

একজন লেদু হাজী। যার পুরো নাম হাজী আঃ নবী লেদু। প্রতারণাই তার মূল ব্যবসা। তিনি স্কুলের গণ্ডি পার হননি। বায়োজিদ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এই লেদু হাজী। সেই সুবাদে নগর পিতা আ জ ম নাসিরের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। মেয়রের সাথে ফটোসেশন তার প্রতারণার মূল পুঁজি। মেয়রের সাথে ফটোসেশন করে ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে প্রমান করতে চান তিনি আজম নাসিরের কাছের মানুষ। পুরোটাই তার লেবাস। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন না হলেও তিনি বাস্তুহারা লীগের নেতা। একই সাথে তিনি ট্রাক কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। চাঁদাবাজি ও দখলদারি তার মূল ব্যবসা।

বেশভূষা ও চালচলনে তিনি একজন আউলিয়ার মত। হাজী সাহেব হলেও বাস্তবে তিনি একজন মাদক কারবারি। লেদু হাজীর রয়েছে নিজস্ব একটি বাহিনী, যা লেদু বাহিনী নামেই পরিচিত। এই বাহিনী পরিচালনা করছে তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম। ফাহিমের রয়েছে নিজস্ব একটি ক্যাডার বাহিনী। এই বাহিনীকে দিয়ে ফাহিম চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করে বেড়ান।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় তিনি শতাধিকের বেশী প্লটের মালিক। বাস্তুহারা লোকদের নাম ভাঙিয়ে নিজে প্লটগুলো প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।

বায়োজিদ অক্সিজেন মোড়ে লেদু হাজীর রয়েছে আলিশান বাড়ী। এই ভবনে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শাখা। এই ভবনেরই পঞ্চম তলায় তিনি সপরিবারে বসবাস করছেন। পুরো বাড়িটিই তিনি অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন খালের উপরে। এই ব্যাপারে স্থানীয় কমিশনার কফিলউদ্দিন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফিন্যান্স টুডেকে বলেন, “লেদু হাজীকে এই এলাকার লোক লেদু গুন্ডা নামেই চেনে। লেদু হাজী যে বাড়িতে বসবাস করে তা খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত। আমি বহু চেস্টা করেও এই বাড়ীটি উচ্ছেদ করতে পারিনি”। স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের সাথে রয়েছে লেদু হাজীর সখ্যতা।

এছাড়াও রউফাবাদ কলোনিতে শতাধিক বসত ঘর রয়েছে লেদু হাজীর। চট্ট্রগ্রাম শহরে তার রয়েছে চারটি বাড়ি। একজন লেদু হাজীর এত সম্পদের উৎস কোথায়? বিভিন্ন অনলাইন টিভি ও নিউজ পোর্টালে তিনি উপদেষ্টার পদ ভাগিয়ে নিয়ে আরেকটি অপরাধ মিডিয়া সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা। তার এই কোটি কোটি টাকা আয়ের পেছনে রয়েছে এক অজানা রহস্য। আর এই উৎস হলো কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক শ্রমিকদের দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে।

সাম্প্রতিক সময়ে চলমান সরকারের মাদক, জুয়া ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে বেরিয়ে এসেছে লেদু হাজীর নাম। যার ফলে তিনি এখন ভীত সন্ত্রস্ত। তার এই কোটি কোটি টাকার সম্পদ সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার ও মেয়রের সাথে ফটোসেশনের মাধ্যমে।

একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে লেদু হাজী চট্টগ্রাম মোহামেডান ক্লাবকে ব্যবহার করে মদ ও জুয়ার আসর পরিচালনা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

তার এই বিপুল অবৈধ সম্পদ উপার্জন সম্পর্কে জানতে ফিন্যান্স টুডে থেকে যোগাযোগ করা হলে উল্টো তিনি হুমকি প্রদর্শন করেন এই প্রতিবেদককে। চট্টগ্রামের মেয়র আজম নাসিরের নাম ভাঙিয়ে সমস্ত অপকর্ম করছে এই লেদু হাজী ও তার বাহিনী। এই বিষয়ে জানতে বার বার চেস্টা করেও মেয়রের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

লেদু হাজীর কর্মকান্ড ও সম্পদের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা