September 19, 2024, 10:04 pm


আবু তাহের বাপ্পা

Published:
2019-12-20 04:27:20 BdST

গ্রিন ব্যাংকিংয়ে আগ্রহ কমছে ব্যাংকের


এফটি বাংলা

পরিবেশবান্ধব অর্থায়নে পিছিয়ে পড়েছে ব্যাংকিং খাত। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রিন ব্যাংকিং খাতে মাত্র ২ হাজার ২০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। যা আগের প্রান্তিকের তুলানায় ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।

সাম্প্রতিক কোনো প্রান্তিকে পরিবেশবান্ধব খাতে এত কম ঋণ বিতরণ হতে দেখা যায়নি। সামগ্রিক ঋণ প্রবৃদ্ধি কমার কারণে সবুজে ব্যাংকের অর্থায়ন কমেছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রিন ব্যাংকিং খাতে মোট ২ হাজার ৫৮২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে। তিন মাস আগে গত জুন প্রান্তিকে বিতরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।

এ হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণ বিতরণ কমেছে ৫৬২ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর গত জুনের তুলনায় বিতরণ কম হয়েছে ৫০২ কোটি টাকা বা ২৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এ খাতে ব্যাংকগুলো বিতরণ করে এক হাজার ৯১০ কোটি টাকা। তিন মাস আগে বিতরণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ১১০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে।

তিন মাস আগে এসব প্রতিষ্ঠানের বিতরণের পরিমাণ ছিল ১৪২ কোটি টাকা। এ হিসাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান উভয় ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী আগের প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ কমেছে ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ কমেছে ২৯ শতাংশ। ২০১৬ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মোট ফান্ডেড লোনের ৫ শতাংশ পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যাংকই সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।

আলোচ্য সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পেরেছে মাত্র দুইটি ব্যাংক। একটি হলো এইচএসবিসি (৮.৪%) এবং অন্যটি আইএফআইসি ব্যাংক (৬.৭৮%)। আর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছেছে ব্র্যাক ব্যাংক (৪.৫%)।

তথ্য অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স (৩৩.৭১%) লিমিটেড এবং ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (১২.৩০%)।

কয়েক মাস ধরে আমদানি ও রপ্তানি কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর গত নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিও অনেক কমেছে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে যা ধীরগতির পূর্বাভাস হিসেবে বর্ণনা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এরকম অবস্থায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অনেক ধীর হয়ে এসেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত অক্টোবর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গত ৯ বছরে কোনো মাসে এত কম প্রবৃদ্ধি হতে দেখা যায়নি। যদিও সরকারি খাতে ঋণ সাম্প্রতিক যে কোনো সময়ের তুলনায় বাড়ছে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনে তুলনামূলক ব্যয় বেশি হয়। তবে এ ধরনের কারখানা থেকে পণ্য নিতে উৎসাহিত হন বিদেশি ক্রেতারা।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা