September 20, 2024, 4:13 am


Al Fahad

Published:
2020-03-05 20:57:34 BdST

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট


প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে তথ্য হাইকোর্টে জানাতে বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাস নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দেয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে, এ মর্মে প্রকাশিত সংবাদ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী আদালতের নজরে আনলে উচ্চআদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরকে তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

১. স্থলবন্দর, নৌবন্দর, বিমানবন্দর, বিশেষ করে বিমানবন্দরে যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আগমন করছেন, তখন অভ্যন্তরে প্রবেশের আগে তাদের কী ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে, যারা পরীক্ষা করছেন তারা প্রশিক্ষিত কি না এবং যে যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে সেগুলোর সক্ষমতা রয়েছে কি না তা জানাতে বলেছেন।

২. সারা বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসের জন্য পৃথক কেবিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রাকপ্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনাভাইরাসের জন্য প্রাকপ্রস্তুতিমূলক সব ধরনের ব্যবস্থা (পৃথক কেবিনসহ চিকিৎসকের সরঞ্জাম) গ্রহণ করতে হবে।

৩. প্রত্যেকটি হাসপাতালে বা বন্দরে যেখানে শনাক্তের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন হবে সেখানে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম রয়েছে কি না, যদি না থাকে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে জানাতে হবে।

এ বিষয়ে কেউ যেন ভীতি সঞ্চার না করে সে বিষয়ে সচেতনতার জন্য জোর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর তা অর্ধশতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত; যার মধ্যে চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজারের বেশি। আর করোনায় প্রাণ গেছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা