May 20, 2024, 3:25 pm


Siyam Hoque

Published:
2020-03-08 22:00:27 BdST

খবর > বাংলাদেশ দ্বিধা কাটিয়ে হজের নিবন্ধন করে ফেলার পরামর্শ প্রতিমন্ত্রীর


আগামী ২৩ জুন থেকে চলতি বছরে হজ ফ্লাইট শুরুর আশা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, “ইতস্তত না করে সকলে নিবন্ধন করুন; কেউ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।”

রোববার সচিবালয়ে ২০২০ সালের হজ নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই অর্থাৎ ৯ জিলহজ হজ অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী, ২৩ জুন হজ ফ্লাইট শুরু করা যাবে বলে তারা আশা করছেন।

“করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর শতাধিক দেশ সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওমরাহ ভিসা সাময়িক বন্ধ রেখেছে। আশা করছি হজের সময়ের আগেই বিশ্বব্যাপী এই বিপদ (করোনা ভাইরাস) কেটে যাবে।”

যারা হজে যেতে আগ্রহী, কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দ্বিধায় আছেন, তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে কেউ নিবন্ধন করতে বিলম্ব করলে তার হজযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। আগে থেকেই যদি হজের প্রস্তুতি গ্রহণ না করেন, তাহলে এ বছর হজে যেতে পারবেন না।”


হজে যেতে আগ্রহীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “দৃঢ়তার সঙ্গে জনগণকে জানাতে চাই, আপনারা হজের নিবন্ধন সম্পন্ন করার ফলে আপনাদের আর্থিক কিংবা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

"আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। সৌদি কর্তৃপক্ষও আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা হজযাত্রীদের বিষয়ে আমাদেরকে সব রকমের সহযোগিতা করবেন। হজযাত্রীরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক এবং হজ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে মাত্র ৯৫৩ জন এবং বেসরকারিভাবে ৮৪৮ জন হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় আছে।

সবাইকে আশ্বস্ত করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, “আপনারা নিবন্ধনের টাকা জমা দিন, পরে হজে যেতে না পারলে আপনারা যখন ইচ্ছা করবেন তখনই টাকা ফেরত দেওয়া হবে।”

এবার হজে যেতে আগ্রহীদের জন্য তিন ধরনের প্যাকেজ রেখেছে সরকার। এর মধ্যে প্রথম প্যাকেজে চার লাখ ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় প্যাকেজে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় প্যাকেজে তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা