September 20, 2024, 4:04 am


Siyam Hoque

Published:
2020-03-11 22:12:19 BdST

‘ভাঙো বাবা সব ভাঙো, সব পুইড়া যাইব’


ভয়াবহ আগুনের লেলিহান সবদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পাশের টিনের ঘরটি মুড়ি-মুড়কির মতো পুড়ছে। আখতারুজ্জামান শেষ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করছেন তিল তিল করে গড়ে তোলা ঘরকে বাঁচাতে।

রবিউল নামে একজন জোরে চিৎকার করে বলছিলেন, ‘কিচ্ছু রাখিস না। কিচ্ছু থাকবে না। সব পুড়ে যাবে। আল্লাহ, এমন আগুন জীবনেও দেখি নাই।’

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার ৭ নম্বর রোডের শিয়ালবাড়ী মোড়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

আখতারুজ্জামান এ সময় কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে তিলে তিলে গড়া ঘর ভাঙছিলেন। এ সময় আগুনের তাপে সেখানে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছিল। চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের শরীর ঘামা শুরু হয়েছে গরমে। সেই সময় ছেলের কথা শুনে আখতারুজ্জামান কাঁদতে কাঁদতে ছেলেকে বললেন– ‘বাবা তুমি যাও। আমরা দেখছি।’ এর পর আবারও ঘরভাঙা শুরু করেন আখতারুজ্জামান।

আখতারুজ্জামানসহ কয়েকজনের ভাঙাঘর থেকে আসবাবপত্র টেনে বের করছিলেন। এ সময় সাদিউল নামে একজন বলে ওঠেন– ‘দ্রুত টান। আরও সব বের করতে হবে। দুই মিনিটও সময় পাবি না আর।’

বুধবার ৯টা ৪৫ মিনিটে রূপনগরের ‘ত’ ব্লকের বস্তিতে আগুন লাগে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। প্রথমে ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে একে একে ২৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বসবাস মিরপুরের এ বস্তিতে। এখানে অবৈধ গ্যাসলাইন, বিদ্যুতের লাইন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এ আগুনে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা