April 26, 2024, 6:46 pm


Siyam Hoque

Published:
2020-04-08 01:01:44 BdST

জরুরি সার্ভিস ছাড়া ‘লকডাউন’ চট্টগ্রাম


জরুরি সার্ভিসের গাড়ি চলাচল ছাড়া ‘লকডাউন’ করা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরী। জরুরি সার্ভিসের আওতাভুক্ত গাড়ি তথা ভোগ্যপণ্য, ওষুধ-ডাক্তারবাহী, ব্যাংকার এবং কিছু উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানার গাড়ি ছাড়া নগরীতে কোনো ধরনের গাড়িই চলছে না।

খুব অল্পসংখ্যক ব্যক্তিগত তথা প্রাইভেটকার চলাচল করতে দেখা গেলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাচ্ছে, এগুলো চিকিৎসক, ব্যাংকার কিংবা যেসব কারখানা এখনো অনুমোদিতভাবে উৎপাদনে আছে সেগুলোর কর্মকর্তারা যাতায়াত করছেন। এর বাইরে গণপরিবহন বলতে গেলে শূন্য হয়ে গেছে। অল্প কিছু রিকশা আছে সড়কে।

মঙ্গলবার বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম দুটি ব্যস্ততম প্রবেশ-বাহিরপর শাহ আমানত সেতু এবং সিটি গেট এলাকা সরেজমিন ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে। দুইটি প্রবেশ-বাহির পথের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। এই দীর্ঘপথ ঘুরে নগরীর কোথাও গণপরিবহন, অটোরিকশা, সিএনজি কিংবা অন্য গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাসদস্য ও পুলিশ সদস্যদের টহল টিমের গাড়িগুলো চলাচল করছে। কোনো কোনো গাড়ির বহর থেকে নগরবাসীকে ঘরে থাকার এবং গাড়ি বের না করার অনুরোধ জানিয়েছে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে টোল প্লাজার অদূরে দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজার সড়ক ধরে নগরীতে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ। শুরুতেই ট্রাফিক পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে নগরীতে প্রবেশর যৌক্তিক কারণ বলতে পারলে গাড়িগুলোকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। না হলে উল্টাপথ ধরতে হচ্ছে। দেখা গেছে একটি প্রাইভেটকারে চারজন যাত্রী আছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানালে, চারজনই ব্যাংকার। ডিউটি শেষে নগরীতে ফিরছেন। এরপরই চালকসহ দুজন যাত্রী নিয়ে সেখানে পৌঁছে আরেকটি প্রাইভেটকার। গাড়ির সামনেই চিকিৎসক লেখা আছে। ওই চিকিৎসক জানালেন, তিনি হাসপাতালে ডিউটির জন্য যাচ্ছেন। আবার কিছু মাছসহ পণ্যভোজাই কিছু গাড়ি নির্বিঘ্নে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে।

এরপর নগরীর নিউমার্কেট, টাইগারপারস, বহদ্দরহাট, জিইসির, আগ্রাবাদ বাদামতল মোড় এলাকায় বসেছে চেকপোস্ট। এখানে নগরী ভেতরে যেসব গাড়ি অপ্রয়োজনীয়ভাবে ঘোরাফেরা করছে সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সিটি গেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, এখানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবোঝাই কাভার্ডভ্যান, লরি বেরিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক ট্রাক-কাভার্ডভ্যন নগরীতে প্রবেশ করছে। তবে কোনো ধরনের গণপরিবহন নেই।

উভয় প্রবেশ মুখে দেখা গেছে, অনেক মানুষ পায়ে হেঁটে নগরী থেকে বের হচ্ছেন আবার অনেকেই প্রবেশ করছেন। একটি ভ্যান গাড়িতে চড়ে পাঁচজন নগরীতে প্রবেশ করছিলেন। পুলিশ তাদের আকটে দেয়। ভ্যানটি সাময়িক সময়ের জন্য আটকে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নগরীতে কোনো ধরনের ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে না নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নগরীতে জরুরি সার্ভিসের আওতাভুক্ত গাড়ি ছাড়া কোনো ধরনের গাড়িই চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই কার্যক্রম বলবৎ থাকবে।

নগর ট্রাফিক-বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার মো. তারেক আহমেদ জানিয়েছেন, বন্দর থেকে পণ্যবাহী গাড়ি বের হচ্ছে, ইপিজেডের কিছু গাড়ি চলাচল করছে। এগুলো অনুমোদিত। বাকি সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা