February 25, 2025, 7:20 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2022-06-02 02:09:22 BdST

আইডিআরএ চেয়ারম্যানের সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের চিঠি


বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ দেয় সংস্থাটি।

এর আগে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সংস্থাটি এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. এজারুল হক আকন্দের দ্বৈত বেঞ্চে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর ১৬ জুন শুনানির তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

মোশাররফের বিরুদ্ধে দুটি কোম্পানি গঠন করে সেগুলোর নামে প্রভিডেন্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড গঠন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ৪ কোটি টাকার বেশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, একাই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানে ৫০ টাকার বিপক্ষে ১০ টাকা হারে ও স্পন্সর শেয়ারে সন্দেহজনক লেনদেন, আইন ও বিধি বহির্ভূতভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনসহ দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ হাইকোর্টের নজরে এনে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন করা হয়।

শুনানি শেষে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বিএফইইউকে নির্দেশ দেয়।

তার এসব অনিয়মের বিষয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএফআইইউ তাদের ডাটাবেজে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করে।

বিএফইইউ মোশাররফ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামে পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৩০টি হিসাব পরিচালনার তথ্য পায়। এর মধ্যে ১৮টি হিসাবে ২০১৭ থেকে মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ কোটি ৮১ লাখ টাকার জমার হিসাব পাওয়া যায়।

মোশাররফ হোসেন ২০১৮ সালের মে মাসে আইডিআরএর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বীমার শেয়ারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে বারবার আলোচনা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর একই বিষয় আবার দেখা দেয়।

অভিযোগ ওঠে, তিনি নিজেই বীমার শেয়ারে বিনিয়োগ করে পরে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজে ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টরা ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছেন।

যেভাবে উত্থান হয়েছিল, বীমার শেয়ারে পতনও হয়েছে সেভাবে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পরের বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে বীমার কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারদর ১০ গুণেরও বেশি বেড়েছে, কোনোটির দর বেড়েছে ৮ গুণ, কোনোটির ৬ গুণ। দাম আরও বাড়বে ভেবে উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে এখন মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের।

বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর এখন এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। এই সময়ে কোনো কোম্পানির শেয়ারদর অর্ধেক হয়ে গেছে, কোনোটির দর তার চেয়ে বেশি কমে গেছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.