নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
Published:2022-07-23 20:38:58 BdST
পাটের আশেঁ খারাপ হওয়ার সম্ভবনা
পাটের জন্য প্রসিদ্ধ রাজবাড়ী জেলায় সর্বাধিক পরিমাণ পাটের আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু পানির অভাবে জাগ নিতে না পারায় বেশিরভাগ পাটগাছ শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের জমিতেই।
জেলার পাঁচ উপজেলাতেই একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। সোনালী আঁশ খ্যাত পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। ভরা বর্ষায় পাট কাটা, পিল দেওয়া, জাগ দেওয়া, পাটের আশঁ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কথা কৃষকদের। কিন্তু শ্রাবন মাসেও বৃষ্টি না থাকায় খাল বিল শুকিয়ে পানি শূন্য হয়ে যাওয়ায় কৃষকের মাঝে সেই ব্যস্ততা নেই। পানির অভাবে পাট কেটে জাগ(পঁচানো) দিতে পারছেন না।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে পাট বেড়ে উঠতে পারেনি। যতটুকু হয়েছে তাও এখন খড়ার কবলে পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাটচাষীদের এমন দুর্দশা চোখে পড়েছে।
দেখা গেছে, অনাবৃষ্টিতে জমির কাছাকাছি জলায়শয়গুলোর পানি শুকিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রচণ্ড খরতাপে জমিতে থাকা পাটগাছের একপ্রকার পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।
বালিয়াকান্দির কৃষক মোবারক জানান এসব পুড়ে যাওয়া গাছ থেকে কোনো আঁশ পাওয়ার সম্ভাবনা কম আর যারা পাট জাগ দেওয়ার জন্য জমি থেকে দূরে ভাগ্যক্রমে কোনো জলাশয় পেয়ে গেছেন, তাদের পরিবহন খরচের পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি খরচও বেড়ে যাচ্ছে।আশেঁর মান খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থায় ফলন ভালো হলেও তা হাসি ফোটাতে পারছে না এখানকার কৃষকদের মুখে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল জানান, চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। কিন্তু সময়মতো জাগ দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পাওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.