বিশেষ প্রতিবেদক
Published:2022-08-19 11:58:01 BdST
দক্ষিণ এশিয়ায় রেকর্ড মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ঘাটতি নেই বাংলাদেশে: বিশ্বব্যাংক
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বহু বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। তবে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি অনুভব করেনি বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি হবে সাড়ে ১৫ শতাংশ। যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্যখাত।
সংস্থাটি জানায়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ৮ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা মোকাবিলায় কৃষিনীতি সামঞ্জস্য করেছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটি আরও বলছে, বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে, কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে, ভর্তুকি বাড়িয়েছে সারে এবং রপ্তানিকারকদের একটি নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এশিয়ার অন্য দেশগুলোর বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, পাকিস্তানে গম ও চালের উৎপাদন কিছুটা কমেছে। এর কারণ সারের অভাব এবং তাপমাত্রা। এছাড়া উল্লেখযোগ্য খাদ্য সরবরাহের ঘাটতিতে রয়েছে ভুটান ও শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কায় কৃষি উৎপাদন ৪০-৫০ শতাংশ কম হয়েছে। সারের ঘাটতি এবং খাদ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রভাবে এই অবস্থা হয়েছে। সার এবং জ্বালানির ঘাটতি খাদ্য সরবরাহকে আরও সীমিত করবে বলে আশঙ্কা করেছে বিশ্বব্যাংক।
তবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত খাদ্যে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক। ভারত ৪৪ হাজার টন ইউরিয়ার প্রথম চালান পেয়েছে। ভারতীয় চালের চাহিদা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.