বিশেষ প্রতিবেদক
Published:2023-12-30 13:03:40 BdST
চার বিভাগীয় শহরকে ভোটার শূন্য রাখতে চায় বিএনপি
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিয়েছে বিএনপি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে করা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
এই সময় দেশের জনগণ যেন অফিস-আদালতে না যায়, কোনো কাজকর্ম না করে সেজন্য বিভিন্নভাবে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে এবং জনসংযোগ করা হচ্ছে।
তবে এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন আগ্রহ নেই। সাধারণ মানুষ এই ধরনের কর্মসূচিতে কোন সাড়াও দিচ্ছে না এখন পর্যন্ত।
কিন্তু বিএনপি মনে করছে যে তারা সারা দেশের সব নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে তারা সফলও হবে না। বরং তারা নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে যেন গ্রহণযোগ্য না হয়, সেটি প্রমাণের জন্য কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা চারটি বিভাগীয় শহরে ভোটার উপস্থিতি কম দেখাতে চায় বা ভোটারবিহীন নির্বাচন হচ্ছে এটা দেখাতে চায়। এই চারটি বিভাগীয় শহরকে টার্গেট করেই তারা নির্বাচন প্রতিহতে কৌশল পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
এই চারটি বিভাগীয় শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং রাজশাহী। ঢাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভিড় নেই। বিভিন্ন স্থানে যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা রয়েছেন, তাদের কারণেই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে।
তবে ঢাকা-৪ ছাড়া কোথাও নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। ঢাকা-৪ আসনটি উত্তেজনাপূর্ণ হবে এবং সেখানে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। তবে ধানমন্ডি, গুলশানের মত আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেও সংশয় রয়েছে।
মোহাম্মদপুর, মতিঝিলে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকায় ভোটার উপস্থিতি হয়তো বাড়বে। কিন্তু সাধারণ ভোটাররা সেখানে কতটুকু উপস্থিত হবে সেই প্রশ্নটিও এখন সামনে চলে এসেছে।
বিএনপি এখানেই একটা টার্গেট করেছে যে ঢাকা মহানগরীতে যদি ভোটার উপস্থিতি ২০ শতাংশের নীচে দেখানো যায় তাহলে তাদের আন্দোলন সফল হয়েছে বলে তারা মনে করতে চায়। আর এটি আন্তর্জাতিকভাবেও দেখানো সম্ভব হবে যে, ঢাকা মহানগরীতে ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে এবং ভোটারদের এই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোন আগ্রহ নেই।
একই রকমভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট এবং রাজশাহীতে তারা পরিকল্পনা করেছে। চট্টগ্রামের তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় পার্টির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সিলেট মহানগরীতে সে রকম কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্ভাবনা কম। রাজশাহীতেও মহানগরের আসনগুলোতে বড় রকমের ভোটার উপস্থিতি হবে না বলেই মনে করছেন বিএনপি নেতারা।
ভোটার উপস্থিতি যেন কম থাকে সেজন্যই বিএনপির কিছু কিছু নাশকতা এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এর মাধ্যমে ভোটের আগের দিন বা ভোটের দিন যেন জনমনে একটা আতঙ্ক থাকে, জনগণ যেন ভীত হয়ে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে না যায় সেই ব্যাপারে বিএনপি এখন তার সমস্ত কর্ম পরিকল্পনাগুলো সাজাচ্ছে।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.