কূটনৈতিক প্রতিবেদক
Published:2024-02-05 14:46:20 BdST
বাংলাদেশে এসে প্রাণ বাঁচালেন মিয়ানমারের ৯৫ সীমান্তরক্ষী
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পবিন্দ্র ধর নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে শনিবার থেকে চলা গোলাগুলি গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছিল; যা বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু, ঘুমধুম, টেকনাফ ও উখিয়ার সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে স্পষ্ট শোনা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে ঘুমধুম, তুমব্রু, কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকার শত শত পরিবার যে যেদিকে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের নিরাপদে থাকতে বলেছে। সীমান্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) অন্তত ৯৫ সদস্য সীমান্ত পার হয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে গতকাল রোববার ৬৮ জন বিজিবির বিওপিতে আশ্রয় নেন। তাদের অনেকের হাতেই অস্ত্র ছিল। তারা ক্লান্ত এবং অনেকেই আহত অবস্থায় ছিলেন।
পরিস্থিতি বিবেচনায় মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা গোটা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। কক্সবাজার ও বান্দরবান পুলিশকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেছেন, সীমান্তে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোস্টগার্ড, পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দেরি হতে পারে। সীমান্ত দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে সরকারি বাহিনীর কেউ আত্মরক্ষার্থে আশ্রয় চাইলে কিছু করার থাকে না।
অন্যদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সীমান্তের বিষয় নিয়ে বিজিবি কাজ করছে। আমরা বিজিবির সঙ্গে কাজ করছি। বিজিবি আমাদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা চাইবে, আইনানুগভাবে আমরা সেই সহযোগিতা দেব।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.