February 23, 2025, 12:05 am


নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী

Published:
2025-01-01 18:40:30 BdST

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মতিউল ইসলাম


একাত্তরের যুদ্ধের বীর সেনা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের এমপির পুত্র হয়েও ধন-রত্নের পেছনে না ছুটে যিনি নির্লোভ-নিরহংকারী সংসপ্তক বিশ্বের নিপীড়িত জনতার মুক্তির প্রত্যাশায় জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি মতিউল ইসলাম।

আজ ঐতিহাসিক ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ভিয়েতনাম সংহতি দিবস’ এর প্রথম শহীদ মতিউলের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের এক বছরের মাথায় স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্র মিছিলে প্রথম পুলিশি গুলিবষর্ণ ও ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৩ সালের ১লা জানুয়ারি। শহীদ হয়েছিলেন মতিউল ইসলাম এবং মীর্জা কাদেরুল ইসলাম। মিছিলটি ছিল ডাকসু ও ছাত্র ইউনিয়নের ঘোষিত ‘ভিয়েতনাম দিবসের’ সংহতি মিছিল।

ভিয়েতনাম। পঞ্চাশের দশক থেকেই এই নাম বাঙালির মনে আসন নেয়। ষাটের দশকে এসে তা এক আবেগপূর্ণ নামে পরিণত হয়। সারাবিশ্বে ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দানা বাধে। এমনকি খোদ আমেরিকাতেও এই অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষক-ছাত্র-বুদ্ধিজীবী-বিবেকবান প্রগতিশীল মানুষ রাজপথে আন্দোলনে নামে। ষাটের দশক ছিল বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের এক সোনালি সময়। তখন ঔপনিবেশিকতার জাল ছিন্ন করে এক এক করে স্বাধীন হচ্ছে দেশ। সাম্রাজ্যবাদ পরাস্ত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষেই মানুষ উর্ধ্বে তুলে ধরছে সাম্য-মৈত্রী আর স্বাধীনতার বাণী। এসবের পিছনে তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক দুনিয়া বিশেষত সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা ছিল অনন্য।

বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনের ঢেউ এদেশেও এসে লাগে। ফলে সেসময় এদেশে চলমান জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার অনুষঙ্গ হিসেবে যুক্ত হয়ে যায় বিপ্লবী ভিয়েতনামের নাম। এদেশেও তখন শ্লোগান ওঠে, “তোমার নাম, আমার নাম-ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম।

সত্তরের দশকে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নেই আরেকটি শ্লোগান এদেশের মুক্তিকামী বাঙালির কণ্ঠে উঠে আসে-“বিশ্বজুড়ে দু’টো নাম- বাংলাদেশ আর ভিয়েতনাম”। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এদেশে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিযোদ্ধাদের মনে ভিয়েতনাম একটি দৃষ্টান্তমূলক অনুপ্রেরণা হিসেবে সাহস যোগায়। ‘আঙ্কেল স্যাম’-এর বিশাল প্রতাপশালী মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ‘আঙ্কেল হো’র বাহিনী যেভাবে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছিল তা এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্যও ছিল অনুকরনীয় ও অনুসরণীয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সামরিক কমান্ডাররা ভিয়েতনামের গেরিলা যুদ্ধ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে তা সংঘটিত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পর্যুদস্তু করার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছেন। এইসবের মধ্য দিয়েই বিপ্লবী ভিয়েতনাম হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের আত্মার আত্মীয়।

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও, ভিয়েতনাম তখনো শত্র“মুক্ত হয় নি। সুতরাং স্বাধীনতার পরও ভিয়েতনামকে নিয়ে মানুষের সেই আবেগ অটল থাকে। স্বাধীন দেশে ভিয়েতনাম সংহতি আন্দোলন আরো জোরদার হয়। বিশ্বব্যাপী ছাত্র-যুব-বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীল বিবেকবান মানুষের সাথে বাংলাদেশেও সজোরে উচ্চকিত হতে থাকে, “ভিয়েতনামের বীর জনতা-আমরা আছি তোমাদের সাথে”

৭২ সালের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম যুদ্ধকে তীব্রতর করে। মার্কিন সামরিক বাহিনী স্বাধীনতাউত্তর ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়, হাই ফং প্রভৃতি শহরে ই-৫২ বোমারু বিমান দিয়ে হামলা শুরু করে। নাপাম বোমার আক্রমণে গ্রাম-শহর জ্বালিয়ে দিতে থাকে। এমনকি গ্রামে-গ্রামে ফসলের ক্ষেত পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয়া হয় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে। যেন মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যায়। এই ভয়াবহতা, নৃশংসতা তখন সারা বিশ্বের বিবেক কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই দেশের ছাত্র সমাজ এবং ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও এই বর্বর নৃশংসতা ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানানো হয়। ভিয়েতনাম সংহতি আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে এদেশের মানুষের মধ্যে।

স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের কাছে দাবি উত্থাপন করা হয় এই নারকীয় হামলার প্রতিবাদ করার জন্য। কিন্তু সরকার তা করেনি। উল্টো স্বাধীনতার এক বছরের মাথায়ই দু’একটা ঘটনায় মনে হতে থাকে সাম্রাজ্যবাদের প্রতি সরকারের নীতি সামান্য নরম হচ্ছে। তদুপরি দেশে সংঘটিত নানা ঘটনায় সরকারের দুর্বলতা ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ড মানুষের কাছ থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিল। আওয়ামী লীগ ভেঙ্গে ততদিনে জাসদ সৃষ্টি হয়ে গেছে। সরকার বিরোধী আওয়াজও রাজপথে সোচ্চার হচ্ছিল। এই অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়ন ঠিক করে সরকারি দল, সরকারের ক্রুটি-বিচ্যুতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে হবে। সেইসাথে দেশকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থানে রাখার জন্য সাম্রাজ্যবাদকে টার্গেট করে গণআন্দোলন জোরদার করতে হবে। এইসব বিবেচনা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ভিয়েতনামে জোরালো বোমাবর্ষণ শুরু করল তখন ভিয়েতনামের সাথে সংহতির আন্দোলনও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্র ইউনিয়ন।

ইউরোপ ও আমেরিকায় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা জঙ্গি রূপ এদেশের ছাত্রসমাজকে আকৃষ্ট করতে থাকে। ’৭২-এর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসেই বিচ্ছিন্নভাবে এদেশে স্থানীয় উদ্যোগে কয়েকটি ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন পরিচালিত একটি ইনস্টিটিটিউট চালু ছিল। সেখানে ছাত্রদের জঙ্গি সমাবেশ হয় এবং ভাংচুর-অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামে সেখানকার ইউএসআই-এস-এর সামনে এ ধরনের জঙ্গি বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে বই মেলায় ইউএসআইএস একটি বইয়ের স্টল খুলেছিল। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গিয়ে সেই স্টল তছনছ করে দেয়।

এইসব বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদকে একটি কেন্দ্রীয় সংঘটিত রূপ দেয়ার জন্য ছাত্র ইউনিয়ন ও ডাকসু সিদ্ধান্ত নেয় যে, পয়লা জানুয়ারি ‘ভিয়েতনাম সংহতি দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। বটতলায় একটা বড় ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখান থেকে মার্কিন দূতাবাসে (তৎকালীন আদমজী কোর্টে তা তখন অবস্থিত ছিল) গিয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে। সেদিনের এই কর্মসূচির মূল দাবি ছিল ভিয়েতনামে মার্কিন বাহিনীর বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে। এটা ছিল ছাত্র ইউনিয়ন ও ডাকসুর যৌথ কর্মসূচি।

ভিয়েতনামের জনগণের বীরোচিত সংগ্রামে সংহতি প্রকাশের লক্ষ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ‘ভিয়েতনাম সংহতি দিবস’ পালনের ডাক দেয়।

সমস্ত কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডাকসু’র তৎকালীন ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মাহবুব জামান, অজয় দাশগুপ্ত, কাজী আকরাম হোসেন, কামরুল আহসান খান, হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ। এছাড়াও কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্পটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন মূল নেতৃবৃন্দের মধ্যে আমি সহ আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, নূহ-আলম-লেনিন।

ডাকসু’র তৎকালীন ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মাহবুব জামান প্রমুখের নেতৃত্বে ঐ দিন একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে মতিঝিলের ‘আদমনি কোর্ট’ ভবনে অবস্থিত দূতাবাস অভিমুখে এগিয়ে যায়। মিছিলটি ঢাকা প্রেসক্লাবের বিপরীতে তোপখানা রোডে অবস্থিত মার্কিন তথ্য কেন্দ্রের (ইউসিস) সামনে কাছাকাছি আসামাত্র পুলিশ বিনা উস্কানিতে ও কোনো ধরনের সতর্কতা না জানিয়েই মিছিলে অতর্তিতে গুলি চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজবাড়ীর পাংশা থানার মতিউল ইসলাম ও টাঙ্গাইলের মির্জা কাদেরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

মতিউলের বয়স ছিল ২১ বছর। তার ডাক নাম ছিল মালু। জহুরুল হক হলের ১৪৮ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র মতিউল সে সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন হল শাখার প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মতিউলের শহীদ সহযোদ্ধা ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী, ঢাকা কলেজের মির্জা কাদেরের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। 

মতিউল-কাদের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা সেদিন উত্তাল হয়েছিল। পল্টনের জনসভায় ছাত্র ইউনিয়ন ও ঢাকসুর নেতারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্বাধীন বাংলাদেশে ওই প্রথম পুলিশের গুলিতে শহীদ ২ ছাত্রের লাশ সামনে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন পরদিন ২ জানুয়ারি ১৯৭৩ ঢাকায় পূর্ণ দিবস হরতাল আহ্বান করলে তা স্বতস্ফূর্তভাবে পালিত হয়।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মাহবুব জামান প্রমুখ ছাত্র নেতারা সেদিন ক্ষোভ-দুঃখে-প্রতিবাদে পল্টন ময়দান প্রকম্পিত করেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকসু’র আজীবন সদস্যপদ প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয়া হয়। তোপখানা সড়কের মাঝখানে মতিউল-কাদের স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে ওঠে। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্তম্ভের পাদদেশ। ইউসিস ভবনের গায়ে লেখা হয় ‘শহীদ মতিউল-কাদের পাঠাগার’। ঐ ভবনের ছাদ থেকে মার্কিন পতাকা নামিয়ে দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হয় ভিয়েতনামের জাতীয় পতাকা। বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে ফোয়ারার একপাশে মতিউল-কাদেররে স্মৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংহতি স্তম্ভ’। এখানে প্রতি বছর ১লা জানুয়ারি অসংখ্য সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ সহ নানা অনুষ্ঠান করে থাকে।

শহীদ মতিউলের লাশ সেদিন তার নিজের এলাকা পাংশার হাবাসপুর গ্রামে পৌঁছার পর জনগণের মনে তীব্র আবেগ সৃষ্টি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ও মুক্তিযুদ্ধের একজন সশস্ত্র যোদ্ধার লাশ কাঁধ থেকে বাহাদুরপুরের কবরস্থানে নামাতে গিয়ে এক অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। সহযোদ্ধারা অশ্রু সংবরণ করে প্রতিবাদে জ্বলে ওঠেন। মতিউলের বাড়িতে পিতা মোসলেম উদ্দীন মৃধার মাথার ওপরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের ছবিটি নামিয়ে এনে তছনছ করেন এলাকার সহযোদ্ধা-সহপাঠী ও ক্ষুব্ধ জনতার দল। অবশ্য এরই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে মনোনয়ন হারান শহীদ মতিউলের পিতা মোসলেম উদ্দীন মৃধা। তার পরিবর্তে মনোনয়ন পেলেন বাষট্টিতে আইয়ুব খানের বি.ডি (বেসিক ডেমোক্যাট) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগার মাছপাড়ার খন্দকার নুরুন্নবী।

শহীদ মতিউলের আত্মত্যাগ অবশ্য বৃথা যায়নি। ২০০১ সালে ভিয়েতনাম সরকার মতিউলকে বিরল রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করে। তার পরিবারের হাতে একটি স্বর্ণপদক প্রদান করে। ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে শহীদ মতিউলকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী চেতনার এক অফুরন্ত উৎস মতিউল তাঁর অনুসারীদের স্মৃতিতে আজও জাগরুক। মৃত্যুর এত বছর পরও তার সহযোদ্ধা, অনুসারীরা তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকেন। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ১লা জানুয়ারি সকালে রাজবাড়ী থেকে ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একটি মৌনমিছিল করেন। মিছিলটি গিয়ে থামে বাহাদুরপুরের তারাপুর কবরস্থানে। সেখানে যোগ দেন এলাকার ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ আর আশপাশের এলাকা থেকে আসা সহপাঠী-সহকর্মীরা।

মতিউলের স্মৃতিসৌধে ফুলের মালা দিয়ে তারা নীরবে শ্রদ্ধা জানান, স্মৃতিচারণ করেন এবং তার বিপ্লবী জীবনের নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.