February 23, 2025, 12:08 am


মোস্তফা কামাল আকন্দ

Published:
2025-01-23 22:40:27 BdST

টেকনাফের ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রকল্প বাস্থবায়ন


বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন, সুইজারল্যন্ড ভিত্তিক সংস্থা ভাইটল ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করার লক্ষে ২ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প বাস্থবায়নের কাজ শুরু করেছে।

প্রকল্পের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ ২২শে জানুযারী রোজ বুধবার টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সাথে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দিন, , কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন মহিলা সদস্য লায়লা বেগম, টেকনাফ উপজেলা বি এন পি সভাপতি এ্যাডভোকেট হাসান সিদ্দিকী, সাধারন সম্পাদক মো: শাহাদাত হোসেন, জেলা প্রেস ক্লাব, কক্সবাজার এর সভাপতি তৌহিদ বেলাল, টেকনাফ উপজেলা মৎস মাঠ সহায়তাকারী মো: শহীদুল ইসলাম, ইউএনএইচসিআর এর প্রোগ্রাম অফিসার মার্জিনা খান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জেলে প্রতিনিধীবৃন্দ, নারী নেত্রী ও সাংবাদিকবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন, জনাব মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী পরিচালক, কোস্ট ফাউন্ডেশন।

সভার শুরুতে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ জেলেদের নিয়ে কোস্ট ফাউন্ডেশনের করা গবেষণার বিভিন্ন দিক এবং প্রকল্পের কার্ক্রক্রমের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়।

২ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০০ জেলে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং বিকল্প আয়ের পথ তৈরীতে প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা হবে।

জেলে প্রতিনিধী সমির দাস, হ্নীলা ইউনিয়ন, টেকনাফ উপজেলা তার বক্তব্যে বলেন, নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধের ফলে আমি বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমি ছেলে মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন অতিবাহিত করছি। নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দিলে আমরা আবার ঘুরে দাড়াতে পারবো।

নারী নেত্রী কুলসুমা বেগম বলেন, নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধের পূর্বে আমাদের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। এখন সবাই রোহিঙ্গাদের নিয়ে চিন্তা করে কিন্তু তাদের থেকেও এখানকার মানুষেরা খুব খারাপ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে যা সকলের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

শহীদুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, কোস্ট ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ গ্রহন করেছে তা খুবই যুগপোযোগী। আমি তাদের কাজ করার জন্য যেকোন সহযোগিতা লাগলে আমি তা করবো। আসা করবো তারা আমাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ পরিচালনা করবে।

তৌহিদ বেলাল বলেন, কোস্ট ফাউন্ডেশন এর এই প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে এই অঞ্চলের মানুষদের জন্য। তিনি বলেন, এরকম কার্যক্রম এই জেলেদের দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রেজাউল করিম চৌধুরী, বলেন, নাফ নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার পর কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত গবেষনা পরবর্তীতে আমরা এই প্রকল্পটি পেয়েছি। আমি আশা করছি সঠিক উপায়ে আমরা প্রকল্পের ১০০০ উপকারভোগী নির্বাচন করব। এই নির্বাচন করতে গিয়ে একটি সার্ভে করা হবে এবং সার্ভে পরবর্তীতে তা ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে যাচাই বাছাই করে নেওয়া হবে। আমরা আসা করব এই প্রক্রিয়ায় সকলেই সহযোগিতা করবে।

এহসান উদ্দিন, বলেন, কোস্ট ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জেলেদের নিয়ে এমন একটি প্রকল্প শুরু করার জন্য। আমি আসা করবো সঠিক উপায়ে প্রকৃত জেলেদের বাছাই করা হবে। আমার যেকোন সহযোগিতা লাগলে তা করব। নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি ফিরিয়ে দিতে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলমান রয়েছে, আশা করছি ভালো কোন সংবাদ জেলেদের জন্য আসতে পারে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.