নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:2025-02-26 22:27:42 BdST
তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে আহতদের অবস্থান
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ব্যানারে অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী।
তাদের অভিযোগ, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। এ সময় তারা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিকালের দিকে মূল ফটক অবরুদ্ধ করে সেখানে অবস্থান নেন। ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেতরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আন্দোলনকারীদের প্রধান ফটক অবরোধ করে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে:
ক্যাটাগরি পুনর্বিবেচনা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ
আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, আহতদের জন্য নির্ধারিত ক্যাটাগরি ৩টি থেকে কমিয়ে ২টি করা হোক। সেই সঙ্গে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
ক্যাটাগরি-এ (কর্মে অক্ষম): যেসব আহত যোদ্ধারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন (যেমন- পঙ্গুত্ব, চোখ হারানো, গুরুতর বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ আঘাত), তাদের জন্য মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা।
এককালীন অনুদান
আগে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এই ভাতা বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান: পরিবারে দায়িত্বশীল সদস্যদের সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্যাটাগরি-বি (কর্মে সক্ষম): যেসব আহত যোদ্ধা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন, তাদের জন্য মাসিক ভাতা ১৫ হাজার টাকা। এককালীন অনুদান: পূর্বের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এই ভাতা বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান: প্রশিক্ষণ ও সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন
আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। এই আইনের আওতায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকতে হবে। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কোনও ধরনের অবহেলা বা বৈষম্য করা যাবে না।
২৪/৭ ইমার্জেন্সি হটলাইন চালু
আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সুচিকিৎসা, মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ, সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টার টোল-ফ্রি হটলাইন চালুর দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও আলোচনা চালিয়ে যেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.