মোস্তফা কামাল আকন্দ
Published:2025-03-02 17:32:45 BdST
কতিপয় অভিযুক্ত কর্মীর কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গেকোস্ট কোন মিডিয়া ট্রায়ালে মাথা নত করবেনা
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং তারিখে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত কতিপয় অভিযুক্ত কর্মীর প্রেস কনফারেন্সের বক্তব্যে কোস্ট ফাউন্ডেশনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
প্রেস কনফারেন্সে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মীরা (যাদের বিরুদ্ধে আইনগত ও বিধিসম্মত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তারা) একটা মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে নিজেদেরকে সুরক্ষার চেষ্টা করেছে।
এই সম্পর্কে কোস্ট ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, উক্ত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্বদানকারী আশেকুল ইসলাম, আবু সালেহ ও জনাব শফিউল কাদেরের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকার একটি ঋনে অনিয়মের অভিযোগ এর তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জনাব সুজন কান্তি দে, সরোয়ার কামাল, জাহিদুল ইসলাম, মোঃ ইউনুস এবং মোঃ মোর্শেদকে আর্থিক অনিয়মের কারণে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। মোঃ তারেক আর্থিক অনিয়ম ও আত্মসাৎ এর কারণে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। কামরুল ইসালাম কায়েস সম্প্রতি একটা শাখা থেকে তিন লক্ষ টাকা ও সদস্যদের পাশবই নিয়ে পালিযে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য যে, কোস্ট ফাউন্ডেশনের নীতিমালা শ্রম আইন ও বাংলাদেশের প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী প্রনীত। এক্ষেত্রে কোন ধরনের তাড়াহুড়ো বা বিধিবহির্ভূত ব্যবস্থা নেয়ার কোন অবকাশ নাই।
কোস্ট ফাউন্ডেশন স্বীকার করে যে, প্রক্রিয়াগত কারণে চুড়ান্ত পেমেন্টে দেরী হয়। কিন্তু এমন কোন প্রমান নাই যে, এই পর্যন্ত চুড়ান্ত পেমেন্ট কাউকে দেয়া হয়নি। আমরা আমাদের সিস্টেম পরিবর্তনের চেষ্টা করছি যাতে করে দ্রুত চুড়ান্ত পেমেন্ট দিতে পারি।
পদত্যাগ করার পরপরই যে কেউ তার সনদপত্র নিয়ে যেতে পারে এটা কোস্ট এর চলমান প্রক্রিয়া। যদি কেউ সনদপত্র না নিয়ে থাকে সেটার জন্য কোস্ট ফাউন্ডেশন দায়ী নয়।
উক্ত পদত্যগী ও অভিযুক্ত কর্মীরা কোস্ট ফাউন্ডেশনের মুক্ত অভিযোগ ব্যবস্থাপনার সুযোগ গ্রহণ না করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। পদত্যাগ বা বহিস্কৃত হওয়ার পরও চুড়ান্ত পেমেন্ট না পাওয়া পর্যন্ত যে কোন কর্মী কোস্ট ফাউন্ডেশনের নিয়মে দায়বদ্ধ থাকবেন। কোস্ট এর নিয়মানুযায়ী এটাও একটা অপরাধ।
উল্লেখ্য যে, সংবাদ সম্মেলনে অনেকেই কোস্ট ফাউন্ডেশনকে চুড়ান্ত লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন। এর অর্থ হলো তারা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী /ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিকার চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে এই ধরনের প্রেস কনফারেন্সে এ যাওয়াটা কতটুক আইনগত হয়েছে তা বিবেচ্য বিষয়।
কোস্ট ফাইন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালকসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কোন ধরনের স্বেচ্ছাচারী হওযার কোন অবকাশ নাই। কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রায় ৩০টির মত লিখিত পলিসি রয়েছে যা কোস্ট পরিচালনা পর্ষদ (সাধারন পর্ষদ) থেকে অনুমোদিত এবং বাংলাদেশের শ্রম আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদন্ডের আলোকে প্রনীত। যার আলোকে কোস্ট ফাউন্ডেশন যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকে। সকল পলিসিগুলো সর্বসাধারনের অবগতির জন্য কোস্ট ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রয়েছে। এটা গৌরবের বিষয় যে মূলত এই সব কারণে কোস্ট জাতিসংঘের ইকোসক পরামর্শদাতা হিসেবে মর্যাদাপ্রাপ্ত।
কোস্ট এমআরএ (মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি) পিকেএসএফ ও এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরো কর্তৃক নিবন্দিত। প্রতি বছর স্বনামধন্য অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়, এছাড়া দাতা সংস্থা কর্তৃক নিয়মিত অডিট করা হয়। এখানে আর্থিক অনিয়ম ও নিয়মবহির্ভত কোন কাজ করার সুযোগ নাই। কোস্ট ফাউন্ডেশন পরিচালনা পর্ষদে ২ জন স্বনামধন্য এফসিএ রয়েছেন।
কোস্ট একটি নারীবান্ধব সংগঠন, স্তরে স্তরে জেন্ডার কমিটি রয়েছে যেখানে নারী কর্মীরাই কোস্টের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিয়মিত মিটিং করে আসছেন ও সেখানে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য যে, অতিসম্প্রতি স্ট্যার্ট ফান্ড বাংলাদেশ কোস্টকে ”সেইভ গার্ড ও প্রটেকশন” এর ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উক্ত কর্মীরা কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ এর চেয়ারপার্সন ডঃ তোফায়েল আহমেদ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ডঃ তোফায়েল আহমেদ বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রধান। কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালনা পর্ষদ এর গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এখানে তার সময় দেয়া ও স্বার্থের দ্বন্দের প্রশ্ন উঠতে পারে বিধায় তিনি আগামি জুন’২৫ পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন
কোস্ট ফাউন্ডেশন তার শৃংখলা ও মানসম্মান রক্ষার্তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এই ক্ষেত্রে যারা এই অপকর্মগুলো করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ১২ জন কর্মী এবং তাদের অভিভাবকরা এই মর্মে কোস্টকে অংগীকারপত্র দিয়েছেন যে, তারা কোস্ট এর আইন/নীতিমালা মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় কোস্ট তাদের বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবে।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.