একটি নোটিশে তিনি লিখেন, প্রিয় ভাড়াটিয়াগণ, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাদের মার্চ মাসের ভাড়া মওকুফ করা হলো। বিশেষ অনুরোধ-১. ভাড়ার টাকা দিয়ে পারলে কারও সাহায্য করুন। ২. ইলেকট্রিক বিল সময়মতো নিজ দায়িত্বে পরিশোধ করুন। ৩. কিছুক্ষণ পরপর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। ৪. অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে যাবেন না।
মুরাদ বলেন, আমাদের সবদিক থেকে এ রোগের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। সরকার একা কিছুই করতে পারবে না। করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার কারণে দেশের সবকিছুই স্থগিত হয়ে পড়েছে। মানুষ কর্মস্থলে যেতে পারছে না। তাই আমি এদেশের একজন ক্ষুদ্র নাগরিক হিসেবে আমার বাসার সব ভাড়াটিয়ার মার্চ মাসের ভাড়া মওকুফ করে দিলাম। আমি বলব, বাংলাদেশের সব বাড়িওয়ালার এই দুর্যোগের সময় ভাড়াটিয়াদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
তিনি আরও জানান, যারা ভাড়া বাসায় থাকেন এ সংকটের সময়েও সে পরিবারগুলোর মুখে যেন হাসি থাকে। এ জন্য রাজধানীসহ সারা দেশের বাড়িওয়ালাদের এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
মুরাদ হোসেনের বাসার ভাড়াটিয়ারা এফটি টীমের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম শিপনকে বলেন, আমরা এক বছর ধরে এখানে আছি। বাড়ির মালিক খবর দিয়েছেন আগামী মাসে তিনি আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নেবেন না। এ খবরে চিন্তামুক্ত হয়েছি আমরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে পরামর্শ দিয়েছেন ও কোন অসুবিধা হলে তাকে জানানোর কথা বলেছেন। আমাদের মালিক সুখে দুঃখে আমাদের পাশে থাকেন।
তারা বলেন, এ দুর্যোগে এক মাসের বাড়ি ভাড়া মওকুফ করা আমাদের জন্য বড় কিছু। বাড়ি মালিকের এমন সিদ্ধান্তে আমরা সবাই খুশি হয়েছি। কারণ এ কদিন আমাদের মনে টেনশন কাজ করছিল।
হাজী মোঃ মুরাদ হোসেন এফটি টীমকে বলেন, আমি তো ঘরের মালিক, তাই ভাড়াটিয়াদের সুখ-দুঃখ আমাদের বুঝতে হবে। এ দুর্যোগে তাদের মানবিক আশ্রয় দিলাম ধরে নিয়ে আমি আগামী মাসের ভাড়া নিব না। এ দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকতে না পারলে, যেন জীবনটা বৃথা মনে করি আমি। এ দুর্যোগে আমাদের সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করতে হবে। সমাজে অনেক বিত্তবান রয়েছে তারা যদি স্ব স্ব অবস্থানে থেকে এগিয়ে আসে, তাহলে এ করোনা পরিস্থিতি আমরা সহজে মোকাবেলা করতে পারব।
তার এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন অনেকেই। এটিকে অনেকে উদারতা বলছেন। অন্যান্য বাড়িওয়ালাদেরও ভাড়াটিয়াদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।