September 21, 2024, 12:34 am


শাফিন আহমেদ

Published:
2024-06-04 14:33:27 BdST

চা শ্রমিকরা আর ভাসমান থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চা শ্রমিকরা আর ভাসমান থাকবে না। তাদের যা যা প্রয়োজন সবই করবে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটা আলাদা ফান্ড আছে, যেখান থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে যারা অনগ্রসর জনগোষ্ঠী আমরা তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা দিয়ে থাকি। চা শ্রমিকদের জন্যও আমরা একটি বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করি।’

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চা শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজ করেছিলেন।’

শেখ হাসিনা বলেন ‘চা অর্থকরি ফসল হচ্ছে। দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। এ নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে। গবেষণার ওপর বিশেষ গুরত্ব দিতে হবে।’

বিভিন্ন ফ্লেভারের চা বাজারজাত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের রুচি বদলে গেছে। বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভারের চায়ের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে হার্বাল টি, মশলা টি, তুলসি পাতার চা, জেসমিন টি, এগুলো চলে। শুধু চা পাতা বাল্কে বিক্রি না করে, ভ্যালু অ্যাড করেন। তাহলে ভালো দাম পাবেন। পাট পাতা থেকেও চা তৈরি হয়। এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। খামারিরা বলছেন, এটি নাকি ডায়াবেটিকসের জন্য ভালো।’

মালিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চা শ্রমিকদের প্রতি যত্নবান হলে তাদের থেকে বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। তাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ নানান বিষয় দেখবেন। চা শ্রমিকদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা। তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই, আপন ভূমি নেই। আমরা তাদের সেই মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দেবো। কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। আমাদের পরিষ্কার কথা।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামের চা দোকানে আড্ডা বসে। চায়ের কাপে ঝড় তোলে। রাজা উজির মারে ওখানে। দেশি বিদেশি নানান খবর রাখে সেখানকার মানুষ। আর চা পান করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেয়। এ কারণে আমাদের চায়ের চাহিদাও বেড়ে গেছে। নিজস্ব উৎপাদনে যেন চাহিদা পূরণ করতে পারি, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অবশ্য চায়েরও উৎপাদন বেড়েছে। উভয়ের সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের চলতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চা আমার খুব প্রিয়। আমি চা পান করি। কারণ, জাতির পিতা চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর বিশেষ করে, চা শ্রমিকরা নৌকায় ভোট দেয়। অনেকে অনেকভাবে চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের অন্য দিকে নিতে পারে নাই। তাদের (শ্রমিক) ভালোবাসা, আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে।’

অনুষ্ঠানে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটেগরিতে জাতীয় চা পুরস্কার পেয়েছে ৮টি কোম্পানি ও ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার ঘোষণা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা