September 20, 2024, 1:04 pm


প্রেস বিঞ্জপ্তি:

Published:
2024-08-10 17:47:33 BdST

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যানের ১০ দফা প্রস্তাবনা


দেশে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় সরকারে থাকায় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলায় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সাধারণ ছাত্র সমাজ নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য জীবন বিসর্জনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। প্রথম দিকে  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে জনতার আন্দোলনে রূপ নেয়। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এক দফা দাবি নিয়ে মাঠে নামে ছাত্র-জনতা। শত শত ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করে শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বাধ্য করা হয়। ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকারের হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ জনগণ ছাত্র সমাজ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে নতুন বাংলাদেশের। ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ করতে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গত ৮ আগষ্ট রাতে ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে বঙ্গভবনে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। কিন্তু জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার।

তিনি আরো বলেন, আজ বাংলাদেশ সরকারের ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদে এনজিও কর্মীদের প্রাধান্যের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ সদস্যদেরকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আসিফ নজরুল কুমিল্লা, আবৃত্তি শিল্পী হাসান আরিফ কুমিল্লা,  বীর বিক্রম ফারুকী আজম চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সু প্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম, হেফাজত  ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির মাওলানা আ.ফ.ম. খালিদ হাসান চট্টগ্রাম, সরকারি উন্নয়ন সংস্থা উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম চট্টগ্রাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ আসিফ মাহমুদ কুমিল্লার মুরাদনগরের হাওয়ায় আঞ্চলিকতার পক্ষপাত দুষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদে অন্যান্য যাদেরকে রাখা হয়েছে পেশাগত জায়গায় স্বনামধন্য হলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাদের ভূমিকা খুব বেশি নজরে আসেনি। উপদেষ্টা পরিষদে আরো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করলে জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সহজ হবে বলে আমি মনে করি।

পাশাপাশি নতুন সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে তা হলো:
১/ নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন বাতিল করা।
২/ স্থায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা।
৩/ নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতায়ন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আনা।
৪/ দুর্নীতি বন্ধে জাতীয় কাউন্সিল গঠন এবং তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত ব্যর্থ প্রমাণিত হলে চাকরি বাতিলের বিধান করা।
৫/ পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে জাতীয় পরিবেশ কাউন্সিল গঠন, নদী ও খালের জায়গা পুনরুদ্ধার করতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযান চালু করা।
৬/ সর্বক্ষেত্রে নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতা আনতে জাতীয় নিয়োগ বোর্ড পুনর্গঠন ও কর্ম ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা।
৭/ উপকূল ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে বিশেষ তহবিল গঠন ও জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক আবাসন নীতিমালা প্রণয়ন।
৮/ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি  রোধে সিন্ডিকেট পদ্ধতির অবসান ঘটাতে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক সরকারিভাবে পণ্য ক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থা চালু করা।
৯/ গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা প্রদান ও ভিন্ন মতাদর্শী রাজনৈতিক দলের সভা- সমাবেশ করতে প্রশাসনের অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক না করা।
১০/ প্রবাসী শ্রমিকদের বিদেশ গমন ও আগমনের বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ, বিদেশি দূতাবাসে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দক্ষ- যোগ্য হাই কমিশনার নিয়োগ, প্রবাসী শ্রমিকের মৃত লাশ দেশে আনতে বিনামূল্যে সরকারি ব্যবস্থাপনা চালু করা।

 

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা