September 20, 2024, 10:24 am


আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক

Published:
2024-08-12 17:35:43 BdST

ক্ষমতা হারাতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী


থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন চলতি সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারাতে পারেন।

ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত পিচিট চুয়েনবানকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে স্রেথা থাভিসিন নৈতিকতার আইন ভঙ্গ করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

আদালতের এই বিষয়ে চলতি সপ্তাহে রায় দেয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, এর এক সপ্তাহ আগে একই আদালত থাইল্যান্ডের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাবেক নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাতকে রাজনীতিতে এক দশকের জন্যে নিষিদ্ধ করেছে।

বর্তমান থাই প্রধানমন্ত্রী যে আইনজীবী পিচিট চুয়েনবানকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন, তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

এছাড়া পিচিট ২০০৮ সালে দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

স্রেথাকে রক্ষায় পিচিট মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু সাংবিধানিক আদালত এখনো মামলাটির শুনানি করতে সম্মত রয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে মন্ত্রিসভায় রদবদল করবেন। আর যদি তিনি ক্ষমতা হারান তবে ফেউ থাইকে নতুন প্রার্থী মনোনীত করতে হবে।

তবে সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে থাইল্যান্ডে অতীতে প্রধানমন্ত্রীদের ক্ষমতাচ্যুত করার নজির থাকলেও এবারে সে রকম কিছু ঘটবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষক থিতিনান পংসুধীরক।

তিনি বলেন, আমি মনে করি তিনি টিকে যাবেন। কারণ, কাউকে তার স্থলাভিষিক্ত করা কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়া তিনি কঠোর পরিশ্রমী।

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় একটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দেয়া স্রেথা থাভিসিন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল ফিউ থাই পার্টিতে যোগ দেয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন।

টানা তিন মাস রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর গত বছর মে মাসে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিন নির্বাচিত হন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা