September 20, 2024, 8:51 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2024-08-20 04:50:08 BdST

বান্দরবানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে প্রশংসিত অতি: এএসপি রায়হান কাজেমী


গত জুলাই মাসে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে কোনরকম নাশকতা ও সংঘর্ষ না ঘটতে দিতে সদা তৎপর ছিলেন বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী (পিপিএম)। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে ছুটে গিয়েছেন যখন যেখানে প্রয়োজন।

সম্প্রতি বান্দরবান ছাত্র সমাজের পেইজে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোষ্ট করা হয়।
বান্দরবান ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানানো হয় হোসাইন মোঃ রায়হান কাজেমীকে; পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

গত ১৬ই জুলাই ওনার বিশেষ অবদান এবং সাহসিকতার কারণে ছাত্র সমাজ এবং ছাত্রলীগের মুখোমুখি অবস্থানের পরও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়ার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা এবং কোনোরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মানববন্ধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করেন।

পোষ্টটির সূত্র ধরে বান্দরবান জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসিফ ইকবালের সাথে কথা হয়।

তিনি জানান, জুলাইয়ের ১৬ তারিখ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স, মুক্ত মঞ্চ ও প্রেসক্লাব এলাকায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করলে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু মার্মা, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদ হোসেন ও বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি টিপু দাশের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়। সে সময় ব্যারিকেড হয়ে দাঁড়ান পুলিশ কর্মকর্তা রায়হান কাজেমীর নেতৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ সদস্য। তাঁর কঠোর ভূমিকায় পিছিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

৪ আগষ্ট বড়ুয়ার টেক থেকে নির্বাচন অফিস অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হলে ছাত্রলীগের একই ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করতে চাইলে আবারও এই পুলিশ কর্মকর্তার কঠোর ভূমিকায় তারা শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরাতে ব্যর্থ হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা সঠিক সময়ে সঠিক দায়িত্ব পালন না করলে কত ছাত্র শহীদ হত তা কল্পনাও করা যায়না বলেও তিনি জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, 'জনগণের জান-মাল রক্ষা করা আমার পেশাগত দায়িত্ব। জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ করে হলেও পেশাগত দায়িত্ব পালনে কখনো পিছু হটবো না।'

এর আগে কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্ব পালনকালেও পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে সিনিয়র এএসপি রায়হান কাজেমীর নেয়া নানা পদক্ষেপ সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়।

বিশেষ করে পৃথিবীর বৃহত্তর সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিচবাইক ও স্যান্ড সাপোর্ট ভেহিকেলে টহল চালু করা, লাইফগার্ডদের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধারকৃত পর্যটকদের অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত নিয়ে আসতে বিশেষ টীম গঠন, নারী পর্যটকদের হয়রানি রোধ ও সৈকতকে নারী‍বান্ধব পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সৈকতে ইভটিজিংকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ট্যুরিস্ট পুলিশের এন্ট্রি ইভটিজিং টিম ও কুইক রেসপন্স টিম গঠন করে অপরাধের মাত্রা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনেন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা