September 20, 2024, 8:44 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2024-08-21 20:34:42 BdST

রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. সোহায়েল গ্রেপ্তার


চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. সোহায়েলকে বনানী থেকে আটক করা হয়েছে।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা শাখার একজন উর্ধতন কর্মকর্তা।

এর আগে, সোমবার (১৯ আগস্ট) নৌ সদর দপ্তরের জারি করা এক চিঠিতে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কথা জনানো হয়। 'পেনশন সংস্থানে বাধ্যতামূলক অবসর' এ পাঠাতে তাকে ঢাকার বিএনএস হাজী মহসিন (অতিরিক্ত) নৌ ঘাঁটিতে সংযুক্ত করা হয়।

যদিও তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর নৌবাহিনী এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

মো. সোহেলকে ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি নৌ জাহাজ, ঘাঁটি এবং সদর দপ্তরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ডিজিএফআই সদর দপ্তরে কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এবং ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর (আইএবি) কর্নেল জিএস হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সূত্র মতে, ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডোর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে, কোনো জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই শেখ হাসিনা সরকারের অনুগ্রহভাজন হিসেবে রিয়ার অ্যাডমিরালে পদোন্নতি পান তিনি।

মোহাম্মদ সোহায়েল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।

২০১০ সাল থেকে পরবর্তী দুই বছর মোহাম্মদ সোহায়েল এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর সদর দপ্তরে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ছিলেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা