September 20, 2024, 7:02 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2024-08-31 09:18:41 BdST

ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত


ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসকে ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশীয় ব্যাংকগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি বা কোষাগারপ্রধানদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) সদস্যভুক্ত প্রায় সব ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২০ টাকা ধরা হয়েছে। যা আমদানি ব্যয় কমাতে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমদানি পণ্যের দাম কমে গেলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপও কিছুটা কমে যাওয়ার কথা। তবে আগাম ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করবে।

বৈঠকে বলা হয়, ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। ডলার সংকট নিয়ে যেসব সংশয় ও শঙ্কা ছিল সেগুলোও বেশ খানিকটা কমেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ, বৈদেশিক অনুদান, রপ্তানি আয় দেশে আনার প্রবণতা বেড়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের খ্যাতি ব্যবহার করে বিদেশি বিনিয়োগ ও বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।

বৈঠকে আরও বলা হয়, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খাতে অনিশ্চয়তাও অনেকটা কমে গেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করে দাম রাখবে। কোনো ব্যাংকই এর বেশি দামে ডলার বিক্রি করবে না। যেসব ব্যাংক এখনো ১২০ টাকার বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে তারাও দাম ১২০ টাকার মধ্যে দ্রুতই নামিয়ে আনবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে আরও স্থিতিশীলতা আনার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বার্তা দেওয়া হয়। বার্তায় বলা হয়, কোনো অনিয়ম হলে, তা সহ্য করা হবে না। এমন বার্তা পেয়েই ট্রেজারি প্রধানরা ওই বৈঠক করেন। আমদানির দেনা পরিশোধ ও নতুন এলসি খোলা ছাড়াও আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন সর্বোচ্চ ১২০ টাকার মধ্যেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রেজারি প্রধানরা।

তবে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্সের ডলার সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় কেনা হলে তা কীভাবে ১২০ টাকায় বিক্রি করা যাবে? এ খাতে ব্যাংকের যে পরিচালন ব্যয় হবে, তা কীভাবে মেটানো হবে? তাই রেমিট্যান্সের ডলারের দাম কিছুটা হলেও কমাতে হবে। এ ছাড়া দাম কমিয়ে প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসীদের সুবিধা দিতে হবে। আগে ব্যাংকগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের বিপরীতে প্রবাসীদের সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিত। এখন প্রায় সব ব্যাংকই তা তুলে দিয়েছে। শুধু সরকারি খাতের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা বহাল রয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, রপ্তানি আয়ের প্রতি ডলার ব্যাংকগুলো এখন কিনছে ১১৮ টাকা ১২ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা করে। এই দামে ডলার কিনে বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাংক ভালো মুনাফা করছে। সেই মুনাফা দিয়ে অন্য খাতে ডলারের দাম সমন্বয় করা যায়। এ ছাড়া, নীতিমালা অনুযায়ী, আগাম ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে মেয়াদ অনুযায়ী দাম কিছুটা বাড়াতে পারবে ব্যাংকগুলো। সে নীতিমালা মেনে ডলার বেচাকেনা করতে বলা হয়েছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা