নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:2024-12-31 19:10:03 BdST
থার্টি ফার্স্ট নাইটসর্বোচ্চ সতর্ক ফায়ার সার্ভিস, কঠোর নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাব
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। দেশের বিভিন্ন এলাকা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও নিরাপত্তা টহল বাড়িয়েছে র্যাব ফোর্সেস।
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে ডিএমপির প্রতিটি থানা এলাকায়। এছাড়া নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রাজধানীতে যাতে কোনোভাবেই কেউ ফানুস না ওড়ায় ও আতশবাজি কিংবা পটকা যেন না ফোটায় সে সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিএমপির আওতাভুক্ত থানাগুলোকে।
থানাগুলোকে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিজ নিজ থানা এলাকায় যেন কোনোভাবে ডিএমপির নির্দেশনা অমান্য করে কেউ যাতে থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো কিংবা ফানুস ওড়াতে না পারে। পাশাপাশি যারা ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর যেসব এলাকায় ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি হয় গত কয়েকদিন সেসব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ। এছাড়া স্থানীয় ফানুস বিক্রেতাদের ফানুস বিক্রি না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গতকাল সোমবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি এবং নিরাপত্তা টহল বাড়িয়েছে র্যাব ফোর্সেস। আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে বাহিনীটির সদর দপ্তর।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সারাদেশে র্যাবের গোয়েন্দা ও আভিযানিক দল প্রস্তুত রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা টহল ও র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সাইবার নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে, গতকাল সোমবার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর কারণে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ হয়। অতিরিক্ত শব্দদূষণে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও মানসিক চাপের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া, ফানুস ওড়ানোর ফলে অগ্নিকাণ্ড ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়।
শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী, এসব কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমবার আইন লঙ্ঘনে ১ মাসের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। পুনরায় অপরাধ করলে ৬ মাসের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
অন্যদিকে, থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। ফানুস ও আতশবাজি থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড সামাল দিতে এরইমধ্যে দেশের সব ফায়ার স্টেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা সতর্ক অবস্থায় থাকে।
এছাড়া ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে, বাড়তি নিরাপত্তায় থাকবে রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলো। এসব এলাকায় উন্মুক্ত স্থানে কেউ যেন থার্টিফার্স্ট নাইটের কোনো অনুষ্ঠান না করতে পারে সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে কঠোর। তারপরও কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় থাকবে নিরাপত্তা চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে কাউকে সন্দেহ মনে হলে পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.