বিশেষ প্রতিনিধিঃ
Published:2025-03-23 12:15:25 BdST
ডেমরা-রামপুরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে স্থাপনা অধিগ্রহনেপ্রকৌশলী রফিকুজ্জামান গংয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান
ডেমরা-রামপুরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে স্থাপনায় জমি অধিগ্রহনে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় জমির মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ দাম হাকানো হয়েছে। এতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ হলেও লাভবান হয়েছে প্রযেক্ট ডিরেক্টর এবং জমির মালিক। ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে। দুদক বিষয়টি আমলে নিয়েছে বলে জানাগেছে।
জানা যায়, রাজধানীতে যানজট ও নানা দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি)’ ভিত্তিতে প্রকল্পটি হাতে নেয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটারের সড়ক ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটারে নেমে আসবে। এতে হাতিরঝিল থেকে ডেমরায় আসতে ১০ মিনিট সময় লাগবে। এজন্য হাতিরঝিল, রামপুরা, মেরাদিয়া, বনশ্রী, শেখের জায়গা, আমুলিয়া ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন এলাকার অনেক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সঙ্ঘবদ্ধ চক্র শোক সাজাস করে জমি অধিগ্রহণের নামে শুরু করে মহা হরিলুট কায়কারবার। ফলে প্রযেকটি সার্বিক কর্মকাণ্ড অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়লেও পিডি সহ সংশ্লিষ্টরা আঙ্গুর ফুলে কলা গাছ বনে যান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রামপুরার ,বনশ্রী ,মেরাদিয়া মৌজার ভুমি ও স্থাপনার অধিগ্রহণে মূল্য নির্ধারনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান, ডিসি অফিসের কানুনগো সিরাজ , সার্বেয়ার জাহাঙ্গীরসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এবং ডিসি অফিসের দালাল মুস্তফা কামাল , দালাল স্বপন সরকার , দালাল কফিল উদ্দিনের যোগসাজশ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে।
অভিযোগে প্রকাশ, যেসব স্থাপনার মালিকরা রফিকুজ্জামান গংদের ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছে, তারাই অতিরিক্ত মূল্য পেয়েছেন। আর যারা যোগাযোগ করেননি তাদের স্থাপনার নামমাত্র দাম নির্ধারণ করেছে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি। এই চক্রটিকে ম্যানেজ না করলে অধিগ্রহনের সঠিক বিল পাওয়া দুষ্কর। অভিযোগ উঠেছে, স্থাপনা অধিগ্রহণে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাফিয়াখ্যাত সহকারি প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান কোন নিয়ম কানুন তোয়াক্কা না করে তার ইচ্ছে মত স্থাপনার বিল করেছেন। তিনি চক্রের মূল হোতা। এভাবে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। গণপূর্তের রফিকুজ্জানসহ অসাধু এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোন ধরনের ব্যাবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ। আর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় মাফিয়া হয়ে উঠছে রফিকুজ্জামান গংরা ।
এদিকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা শুভ জানান, বাড়ির মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি একান্তই গনপূর্ত অধিদপ্তরের। এখানে কোন অনিয়ম হলে তার দায়ভার তাদের। তবে কেউ যাতে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়টি নজরের রাখা হচ্ছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ করেনি।
সঠিক তদন্তর মাধ্যমে এই চক্রের মুখোশ উন্মোচনের জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিষয় টি আমলে নেয়া হয়েছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবেনা। দালান চক্র হোক আর কর্মকর্তা হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তবে অপরাধীরা একটু বেশি ঠোঁট নাড়িয়ে কথা বলে।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.